নির্বাচনের পর আবারও সংবাদের শিরোনামে এলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে এবার তিনি সংসার ভাঙনের কথা ফেসবুকে একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করে আলোচনায় আসেন। তিনি এ ভিডিও প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মুখরোচক আলোচনার ঝড় ওঠে।
আজ মাহিয়া মাহি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে লিখেছেন, ‘একা একা লাগে’। তার এ স্ট্যাটাস দেখে ভক্ত-অনুরাগীরা বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। কারও কারও মন্তব্যে উঠে এসেছে- মাহি সংসারের সমস্যার কারণে মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। তাই তার এমন মনে হচ্ছে। কেউ কেউ মাহিকে পরামর্শ দিচ্ছেন- তাকে দ্রুত বিয়ে করার জন্য।
নিশা মাহমুদা নামের একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, আল্লাহকে ডাক, পারলে তাহাজ্জুদ পড়। অন্যদিকে রিয়াজুল রাজু নামের একজন লিখেছেন, ‘সংসার জীবনে ঝগড়াঝাটি মান অভিমান নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছোট্ট একটা জীবন পেরা না নিয়ে মিটিয়ে ফেলাই ভালো।’ মাহির ভক্তরা এসব মন্তব্য করলেও তিনি এর কোনা উত্তর লিখছেন না।
কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে এমন কথা নিজেই জানান নায়িকা।
জানালেন, অনেকদিন ধরেই তারা আলাদা থাকছেন। শিগগির ডিভোর্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ভিডিওতে মাহিয়া মাহি বলেন, আমাকে এমন একটি কাজ করতে হবে আমি কখনো ভাবিনি। তবে আমার মনে হয়েছে এখন সবাইকে বলার সময় হয়েছে আমাদের নিজেদের ভালোর জন্য। আমি আর রকিব খুব ভালো বোঝা পরা থেকে বিয়ের সিদ্ধান্তে এসে ছিলাম। আমরা খুব ভালোই ছিলাম।
মাহি আরও বলেন, কিন্তু জীবনের এক পর্যায় এসে বুঝলাম আমরা আসলে দুজন দুজনের জন্য নয়। সে অনেক ভালো একজন মানুষ। এতগুলো দিন ওর সঙ্গে কাটিয়েছি সে আমাকে খুব কেয়ার করেছে। সব সময় একটা ছাতার মতো করে আগলে রেখেছে। কিন্তু আসলে কি কারণে একটি ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই সেটি তৃতীয় পক্ষ কেউ বলতে পারবে না সেই দুজন মানুষ ছাড়া। তাই সব কিছু মিলিয়েই দুজন দুজনের প্রতি সম্মান জানিয়েই আলাদা হচ্ছি। তাছাড়া আমরা অনেক দিন ধরেই আলাদা আছি।
২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। এটি ছিল মাহি ও রকিবের দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের সংসারে এক ছেলে ফারিশ নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এর আগেও ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন এ নায়িকা। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালে মে মাসে অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান মাহিয়া মাহি।