নাসিম রুমি: ঢালিউড সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সিনেমার রুপালি পর্দা থেকে রাজনীতির ময়দানে নামেন এই নায়ক। তার আগে থেকেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশেপাশে দেখা যেত তাকে। বিভিন্ন সময় তার সফর সঙ্গীও ছিলেন।
রুপালি পর্দায় দাপিয়ে বেড়ানোর পর প্রথমবারের মতো নৌকার টিকিট পেয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে জয়লাভ করেন তিনি। কিন্তু ফেরদৌসের ভাগ্য সহায় হলো না। শপথ নেয়ার এক বছর অতিক্রম করার আগেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে গেছে। ছাত্র-জনতার এক দফা দাবির জেরে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা।
হাসিনা সরকারের পতনের আভাস পেয়ে পদত্যাগের আগের দিনই বিদেশে পালিয়েছেন তার কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি ও নেতা কর্মীরা। যারা দেশ ছাড়তে পারেননি, তারা এখন আছেন আত্মগোপনে। সেই সূত্রেই আলোচনায় চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
বেশ কয়েক দিন ধরে তাকে দেখা যাচ্ছে না জনসম্মুখে। মুঠোফোন বন্ধ করে রয়েছেন আত্মগোপনে। নায়কের ঘনিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, ফেরদৌস ভারতে দীর্ঘদিনের বন্ধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাসায় আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সহসাই দেশে আসছেন না তিনি।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ফেরদৌস এখন ভারতে আছেন। তিনি একটা সময় টলিউডের একাধিক সিনেমাতে কাজ করেছেন। এই বিপদের সময় তার কাছে ভারতেই নিরাপদ আশ্রয় বলে মনে হয়েছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের সিনেমারও পরিচিত মুখ ফেরদৌস আহমেদ। রাজনীতির মাঠে নামার ‘গ্রিনকার্ড’ পাওয়ার জন্য ফেরদৌসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিল টলিউড তারকা ঋতুপর্ণা। এবং আগ বাড়িয়ে ঢাকায় এসে বন্ধুর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার কথাও বলেছিলেন বলে সেসময় ফেরদৌস জানান। বন্ধুর জয়ে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। এবার বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়ালেন বলে খবর।