নাসিম রুমি: বছরের অন্য সময়ে সিনেমা মুক্তি দিলেও, ঈদে যেন এই কাজে জোয়ার আসে ইদানিং। এবারও তাই হয়েছে। রোজার ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে সেগুলোর বেশিরভাগই দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ব্যবসাতেও হয়েছে ‘ভরাডুবি’। প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের ভাষ্য, ভালো চিত্রনাট্য এবং অভিনয়শিল্পী না হলে কেবল ‘হাইপ’ তুলে দর্শককে হলমুখী করা সম্ভব নয়।
হল মালিকরা গ্লিটজকে বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবারে হলগুলোয় ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা গেছে। বেশিরভাগ হলে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় তো ছিলই না এবং কোনো কোনো সিনেমা একেবারেই দর্শক টানতে পারেনি।
ঈদের সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘রাজকুমার’ ও ‘ওমর’ বেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও তেমন দাপট দেখাতে পারেনি কোনোটিই। মুক্তি পাওয়া ১১টি সিনেমার মধ্যে বেশিরভাগই ঈদের চতুর্থ সপ্তাহে এসে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হলমালিক এবং সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের বেশি হতাশা সুপারস্টার শাকিব খানের সিনেমা নিয়ে। তারা বলছেন, গেলবার মুক্তি পাওয়া শাকিবের ‘প্রিয়তমা’র ধারেকাছে পৌঁছুতে পারেনি ‘রাজকুমার’। ‘প্রিয়তমা’র এক ভাগও আয় হয়নি ‘রাজকুমার’র। যে প্রত্যাশা নিয়ে তারা সিনেমাটি হলে তুলেছিলেন, সেটি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে আরশাদ আদনান প্রযোজিত ও হিমেল আশরাফপরিচালিত এই সিনেমাটি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো হল-‘রাজকুমার’, ‘ওমর’, ‘কাজল রেখা’, ‘দেয়ালের দেশ’, ‘মোনা: জ্বীন-২’, ‘সোনার চর’, ‘লিপস্টিক’, ‘গ্রিনকার্ড’ ‘আহারে জীবন’,‘মায়া: দ্য লাভ’ ও ‘মেঘনা কন্যা’।
ঢাকার পুরনো হল মধুমিতার কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদের ভাষ্য, “ঈদের ১১টি সিনেমার সবকটি সুইসাইড করেছে। আমরা শাকিবের ‘রাজকুমার’ ধরে রেখেছি, তবে এটার বিক্রিও কমে এসেছে।”