নাসিম রুমি: রায়হান রাফী নির্মিত আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ওপার বাংলার মিমি চক্রবর্তী। ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে সিনেমাটি।
‘তুফান’ সিনেমার দর্শকপ্রিয়তার খবর ছড়িয়েছে ভারতেও। আগামী ৫ জুলাই দেশটিতে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। তার আগে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মুখোমুখি হয়েছেন ঢালিউড কিং শাকিব খান। এ আলাপচারিতায় নানা বিষয়ে কথা বলেছেন শাকিব।
কথার শুরুতে জানতে চাওয়া হয়, ‘তুফান’ সিনেমা বাংলাদেশে ঝড় তুলেছে। রিভিউ দেখে আপনার কেমন লাগছে? জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘রিভিউ দেখে ভালো লাগছে। সত্যি বলতে আমি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি। সৃষ্টিকর্তা এবং যারা আমাকে পর্দায় দেখে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
সিনেমায় ‘তুফান’ যা চায়, তাই পায়। ব্যক্তিগত জীবনে আপনিও যা চেয়েছেন তাই কি পেয়েছেন? জবাবে শাকিব খান বলেন, ‘কেউই জীবনে সবকিছু অর্জন করতে পারে না। পূর্ণতা এবং অপূর্ণতার মিশ্রণই জীবন। আমার বড় অর্জনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে, ছোট ছোট বিপত্তিগুলো দিন শেষে তুচ্ছ মনে হয়। এখন পর্যন্ত আমি যতটা আশা করেছি, তারচেয়েও বেশি পেয়েছি।’
বাংলাদেশের আর কোনো তারকা আপনার মতো সাফল্য কেন পায়নি? উত্তরে শাকিব খান বলেন, ‘প্রতিযোগিতা করার জন্য আমি এখানে আসিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি আমার কাজটি সঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকে সে তার সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করেন। মানুষ আমাদের সবার সিনেমাই দেখেন। যেমন— আরিফিন শুভর খ্যাতি সীমানা পেরিয়েছে। ওপার বাংলার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, দেব, জিৎ সবাই বাংলা সিনেমার নায়ক। বাংলা সিনেমার জন্য আমরা মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, একসঙ্গে আমরা বাংলা সিনেমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব এবং বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারব।’
বাংলাদেশি সিনেমার ভবিষ্যতে কী? জবাবে শাকিব খান বলেন, “বাংলাদেশি সিনেমাকে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে দেখার স্বপ্ন আমার বহু বছরের। অনেকে ভেবেছিলেন, এটা আমি বেশি বেশি করছি। কারণ এটি অসম্ভব! কিন্তু আমি যা স্বপ্ন দেখেছি, তাই ঘটছে। আমাদের চলচ্চিত্র এখন বিশ্বব্যাপী অফিশিয়ালি মুক্তি পাচ্ছে। গত বছর ‘প্রিয়তমা’ বিশ্বব্যাপী সফলতা অর্জন করেছে। নিউ ইর্য়ক, টরন্টো, লন্ডন, ডাবলিন, সিডনি, প্যারিস, মধ্যপ্রাচ্যের সমালোচকদের কাছে আমাদের সিনেমা গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, বাংলা সিনেমা বৈশ্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে। একে একে আমার স্বপ্ন পূর্ণতা পাচ্ছে আর আমার স্বপ্ন প্রসারিত হচ্ছে।