নাসিম রুমি: দাম্পত্য জীবনের তিন বছর কেটে গেছে। এই দিনেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ নয়, নিজেদের বাড়ি ‘বাস্তু’তেই ঘরোয়াভাবে বসেছিল বিয়ের আসর। বিয়ের এক মাসের মাথায় সুখবর দিয়েছিলেন আলিয়া ও রণবীর। জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই তাদের কোলে আসছে সন্তান। এই নিয়ে কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল তারকা দম্পতিকে।
বলিউডে বরাবরই ‘ক্যাসানোভা’ তকমা রণবীরের। একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তবে সব শেষে তার জীবনে আসেন আলিয়া।
অভিনেত্রী একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শৈশব থেকেই রণবীরকে স্বামী হিসাবে পেতে চান তিনি। সঞ্জয় লীলা ভানসালীর ছবি ‘ব্ল্যাক’-এ সহ-পরিচালকের কাজ করছিলেন রণবীর। সেই সময়ে আলিয়ার বয়স মাত্র ১১। তখন থেকেই রণবীরের প্রেমে পড়ে যান আলিয়া। সেই ইচ্ছে পূরণ হয় অভিনেত্রীর। তবে বিতর্কের শেষ এখানেই নয়। বার বার কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তারকা দম্পতিকে।
রণবীর নাকি আলিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেন, এমন একটি ধারণা তৈরি হয় অনুরাগীদের মধ্যে। সাজগোজ সংক্রান্ত নিজের একটি ভিডিওতে আলিয়া বলেছিলেন, তিনি গাঢ় রঙের লিপস্টিক পরেন না, কারণ রণবীর নাকি একেবারেই তা পছন্দ করেন না। গাঢ় রঙের লিপস্টিক দেখলেই, তা মুছে দিতে বলেন রণবীর।
আলিয়ার এই মন্তব্যের পরেই এই বিতর্কের শুরু। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে রণবীর এই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিয়েছিলেন। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, আলিয়া নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। বিয়ের আগে খুব চিৎকার করে কথা বলতেন তিনি। এখন তিনি অনেক শান্ত কণ্ঠে কথা বলেন। এই মন্তব্যে বিতর্ক দ্বিগুণ হয়।
এই নিয়ে আলিয়া অবশ্য স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে জানিয়েছিলেন, রণবীর মোটেই নিয়ন্ত্রণ করেন না তাকে। বরং স্বামীর সঙ্গে থাকাকালীনই নিজেকে সবচেয়ে বেশি খাঁটি মনে হয় তার। রণবীরও এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, তারা দু’জনেই স্বতন্ত্র ও স্বাধীন মানুষ। কোনোভাবেই পরস্পরকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন না তারা।
এই সব বিতর্ক নিয়েই একসঙ্গে তিন বছর কাটিয়ে ফেলেছেন রণবীর ও আলিয়া। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে প্রেমের শুরু রণবীর ও আলিয়ার। ২০২২-এর ১৪ এপ্রিল বিয়ে সারেন তারা। সে বছরই নভেম্বরে কন্যা রাহা আসে তাদের জীবনে।