English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

আমি মারা গেলে যেন এফডিসিতে আমাকে না নেওয়া হয়: নূতন

- Advertisements -

ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নূতন। এফডিসিতে ছিল তার তুমুল কর্মব্যস্ততা। এখন অভিনয়ে নিয়মিত নন, এফডিসিতেও তেমন আসেন না। সবশেষ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দেখা গেছে তাকে।

নূতন ঠাট্টাপ্রিয় মানুষ। সব সময় হাসিমুখে দেখা যায় তাকে। সবার সঙ্গেই সু-সম্পর্ক বজায় রাখেন। কিন্তু তার মনের গভীরে জমে আছে বিশাল ক্ষোভ। তিনি চান না, মৃত্যুর পর তার লাশ এফডিসিতে আনা হোক।

সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নূতন জানান, ‘মৃত্যুর পর যাতে সবাই আমার স্মৃতি মনে রাখে এ জন্য সবার সঙ্গে সহজভাবে চলাফেরা করি। আমার অভিনীত সিনেমার কথা হয়তো ভুলে যাবে, তবে আমার ব্যবহার থেকে যাবে সারাজীবন।’

মনের ক্ষোভে তিনি যোগ করেন, ‘আমি জানিয়ে দিয়েছি- মারা গেলে যেন এফডিসিতে আমাকে না নেওয়া হয়। আর কেউ যেন আমার জন্য মায়া কান্না না কাঁদেন।’

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে মূল থেকে পার্শ্ব প্রায় তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন নূতন। সত্তর-আশির দশকে সুজাতা, সুচন্দা, কবরী, শাবানা, ববিতার ভিড়ে তিনিও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলো ছড়িয়েছেন।

নূতনের অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘রাজনর্তকী’, ‘পাগলা রাজা’, ‘রাজলক্ষী শ্রীকান্ত’, ‘বসুন্ধরা’, ‘প্রাণসজনী’ ‘প্রেমবন্ধন’, ‘স্ত্রীর পাওনা’, ‘মানসী’, ‘রাজমহল’, অবিচার’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘বদলা’, ‘ননদভাবি’, ‘রাঙাভাবি’, ‘অলংকার’, ‘বদনাম’, ‘শাহজাদা’, ‘কন্যাবদল’, তাজ ও তলোয়া’, ‘কাবিন’, সোনার চেয়ে দামি, ‘ বাঁশিওয়ালা’, ‘সত্য-মিথ্যা’, পাহাড়ি ফুল, অশান্ত, ‘মালামতি’ ‘বাঁশিওয়ালা’, ‘আবদুল্লাহ’। প্রায় সব ছবিতেই বিশেষত্ব পেয়েছেন অপূর্ব নৃত্যশৈলীর কারণে। কীর্তনিয়া, শাস্ত্রীয়, কত্থক, ভারতনাট্যম, সর্পনৃত্য, বাউল, ফোক, আধুনিক, ওয়েস্টার্ন-চরিত্র অনুযায়ী নানা ধরনের নৃত্য সমাহারে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন