বাংলা গানের ভুবনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম কনকচাঁপা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। বিভিন্ন সময় নানান বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। প্রায় সময়ই কনকচাঁপা নিজের ছোটবেলার ছবি পোস্ট করেন। তেমনই একটি ছবি পোস্ট করেছেন সম্প্রতি। ছবিতে তাকে চেনাই যাচ্ছে না।
সেই ছবির ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার জীবনের প্রথম রঙিন ছবি। আম্মার খালাতো বোন স্বপ্না খালাম্মার বিয়ের দিন তুলেছিলাম।সেই রঙিন ছবিটি আমার কৈশোরে রাঙিয়ে দিয়েছিল। আহা, শৈশব! ১৯৮০সালের ছবি।’
১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই কণ্ঠশিল্পী চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সংগীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে সমান পারদর্শী। ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম তিনি টিভিতে পারফর্ম করেন। একই বছর তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন কুঁড়ি’র চ্যাম্পিয়ন হয়। তিনি টানা ৩ বছর ‘জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা’র চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন।
বাংলা সিনেমার গানে কনকচাঁপা একটি অধ্যায়ের নাম। ৩৭ বছর ধরে সংগীতাঙ্গনে সমানতালে কাজ করে যাওয়া এই গায়িকা এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রে তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরের প্রায় প্রতিটি গানেই শোনা যায় কনকচাঁপার কণ্ঠ। প্লে-ব্যাকের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে তার ৩৫টি একক গানের অ্যালবাম।
লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার খ্যাতি রয়েছে। তিনি ‘স্থবির যাযাবর’ নামে একটি অটোবায়োগ্রাফি লিখেছেন, ২০১১ সালের অমর একুশে বইমেলায় এটি প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও ২০১২ সালে মুখোমুখি যুদ্ধ, মেঘের ডানায় চড়ে (২০১৬), কাঁটা ঘুড়ি (২০১৮), সেই পথে যাও (২০১৯), কাঁটা ঘুড়ি-২ (২০১৯) বইগুলো প্রকাশিত হয়।
ব্যক্তি জীবনে তিনি ১৯৮৪ সালে মিউজিক ডিরেক্টর ও কম্পোজার মইনুল ইসলাম খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।