‘চলচ্চিত্রই আমার ধ্যান-জ্ঞান। চলচ্চিত্র, অভিনয় ছাড়া আমার কোনো সাইড বিজনেস নেই’―এমনটাই জানালেন চলচ্চিত্র অভিনেতা মামুনুন ইমন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমন বলেন, ‘ঢাকাই চলচ্চিত্রের সামনে একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম করোনা সংক্রমণের সময় দেশীয় চলচ্চিত্রে আরো ধস নামবে।সে সময় আমার কাছের কিছু মানুষ জিজ্ঞেস করেছিল আমার আলাদা কোনো ব্যবসা আছে কি না। ’
ইমন বলেন, ‘আমি প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলাম, আমার কোনো সাইড বিজনেস নেই। চলচ্চিত্র, অভিনয় জগৎ―এটাই আমার একমাত্র আয়ের পথ। যদি করোনা সংক্রমণের ওই সময়টা থেকে চলচ্চিত্র এখনকার অবস্থায় না আসত তাহলে আমিও ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। তবে আমাদের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরেছে। সামনের সময়টা ভালো হচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। ’
এই অভিনেতা বলেন, “আমি বলব আমাদের দেশের চলচ্চিত্রের মান, গল্প ও অভিনয় ভালো হচ্ছে। পরিবর্তনটাও ভালোভাবেই হচ্ছে। সামনে ভালো ভালো ছবির গল্প আসবে, মানুষজন দল বেঁধে সিনেমা হলে যাবে―এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব আমার ছবি ‘বীরত্ব’ দেখতে। এটাও খুবই চমৎকার ছবি। এখানে এমন ব্যাপার রয়েছে যে দর্শকরা ভালোলাগার সঙ্গে চোখের কোণে জল নিয়ে হল থেকে বের হবেন। ”
ছবির গল্প প্রসঙ্গে ইমন বলেন, “চিকিৎসকদের বীরত্বগাথা নিয়ে সিনেমা ‘বীরত্ব’। আমাদের দেশে পুলিশ নিয়ে সিনেমা হয়েছে, র্যাব নিয়ে সিনেমা হয়েছে, কিন্তু ডাক্তারদের নিয়ে সিনেমা হয়নি। অথচ করোনার সময় দেখেছি জরুরি মুহূর্তে তাদের ভূমিকাও বীরত্বপূর্ণ। ডাক্তার চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামটা বুঝতে পেরেছি। ”
ইমন বলেন, ‘জীবনে বহু চরিত্রে অভিনয় করেছি। এত গভীরভাবে কখনো চরিত্রের মায়ায় পড়িনি। একটা অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে সেই শুটিং থেকে এখন পর্যন্ত। এ রকম চরিত্র পাওয়া যেকোনো অভিনেতার জন্যই বড় অর্জন। ’
সাইদুল ইসলাম রানা পরিচালিত এই সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন তিনি। ছবিতে ইমনের সঙ্গে অভিনয় করেছেন নিশাত নাওয়ার সালওয়া, নিপুণ, ইন্তেখাব দিনার, মনিরা মিঠু, নাসিমসহ অনেকেই। আগামী শুক্রবার ছবিটি মুক্তি পাবে।