‘রেহানা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনী শেষে নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে আনন্দে কাঁদলেন বাঁধন। কানের পালে দ্যা ফেস্টিভালে প্রথম প্রদর্শনী শেষে ইত্তেফাক অনলাইনের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মী, মার্শে দ্যা ফিল্মে অংশগ্রহণকারী ফিল্ম প্রফেশনাল এবং দর্শকদের উষ্ণ অভিনন্দন পেয়ে আপ্লুত বাঁধন কাঁন্না ধরে রাখতে পারেননি।
বাঁধন বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে বলে বোঝাতে পারবো না কী অনুভব করছি। আজকে প্রথমবারের মতো পুরো ছবিটি একসাথে দেখলাম। অনস্ক্রিন রেহানার পেইন, আমার পেইন, আমাদের সবার পেইন- এ এক অন্যরকম অনুভূতি। বিশেষ করে যে সব দর্শকরা সাবাইটেল দেখে ছবিটি বোঝার চেষ্টা করেছিলেন, তারা যখন আমাকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানালেন, বাংলাদেশ নিয়ে প্রসংশা করলেন এইসব বিষয় কখনো বলে বোঝানো যায় না। আজকে আমি আমার মেয়েকে অনেক মিসড করছি।’
এ সময় বাঁধন বলেন, ‘আমি সবাইকে অনেক ভালোবাসি। আমি আমার টিমের সবার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে ছবিটির পরিচালক পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ এবং পুরো টিম দুর্দান্ত কাজ করেছে।’
এ সময় ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু বলেন, সবাই দারুণভাবে ছবিটি গ্রহণ করেছে। অমরা অভিভূত, আনন্দিত।
কান উৎসবের দ্বিতীয় দিনে আজ বাংলাদেশ সময় ৩টি ১৫ মিনিটে (স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিট) দেখানো হয় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। এটাই হবে ছবিটির প্রথম প্রদর্শনী।
‘এই অর্জন আমাদের দেশের অর্জন। কান উৎসবে এসে বাংলাদেশেকে তুলে ধরত পেরেছি এটাই আমাার কাছে সবচেয়ে বড় অর্জন। এখানে সবাই এতো প্রসংসা করেছে, বাংলাদেশের ছবি নিয়ে আশাবাদ জানিয়েছে, আজ সত্যিই গর্ববোধ করছিম বলেন বাঁধন।’
ছবিটি দেখে প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মী, এবং মার্শে দ্যা ফিল্মে অংশগ্রহণকারী ফিল্ম প্রফেশনালরা। ছবিটি পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমি চুয়া, চিত্রগ্রাহক তুহিন তমিজুল, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জল, শব্দ প্রকৌশলী শৈব তালুকদার, কালারিস্ট চিন্ময় রয় এবং নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু একসাথে প্রথমবারের মতো পুরো ছবিটি দেখলেন।