নাসিম রুমি: মাহিয়া মাহি চলচ্চিএে আত্মপ্রকাশ করেছেন ১১ বছর হলো। এই সময়েই তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের শীর্ষ জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে। বর্তমান সময়ে তাকে ঢালিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দর্শকদের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা দারুণ।
মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমাদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে তিনি ঢালিউডে কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত। বলছি চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির কথা। আজ ২৭ অক্টোবর তার জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাহিয়া মাহি।
১৯৯৩ সালের এই দিনে মাহি জন্মগ্রহণ করেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তার আসল নাম শারমিন আক্তার নিপা। পড়াশোনা করেছেন ঢাকা উত্তরা হাইস্কুল এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে। এরপর শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে ভর্তি হন।
মাহির অভিনয় জীবন শুরু হয় ২০১২ সালে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমা দিয়েই তার অভিষেক হয়েছিল। এই সিনেমা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরীও। ব্যবসাসফল এই সিনেমা তাদের দুজনকেই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়।
২০১৩ সালে নিজেকেই ছাড়িয়ে যান মাহি। সে বছর তার অভিনীত চারটি সিনেমা মুক্তি পায়। এর মধ্যে ‘পোড়ামন’ ও ‘ভালোবাসা আজকাল’ সিনেমা দুটি দারুণ ব্যবসাসফল হয়েছিল।
মাহি তার সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখেন পরের বছরও। ২০১৪ সালে মুক্তি পায় ‘অগ্নি’। এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। নারীকেন্দ্রিক সিনেমাটি ব্যাপক আলোচিত হয়। সেই সঙ্গে মাহির অভিনয়ও ভূয়সী প্রশংসা পায়। এ ছাড়া একই বছর মাহি অভিনীত ‘দবির সাহেবের সংসার’, ‘অনেক সাধের ময়না’ এবং ‘দেশা দ্য লিডার’-এর মতো আলোচিত সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছিল।
২০১৫ সালে মাহি উপহার দেন ‘অগ্নি ২’, ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’ ও ‘ওয়ার্নিং’ সিনেমাগুলো। এর মধ্যে ‘রোমিও বনাম জুলিয়েট’ সিনেমায় তার নায়ক ছিলেন কলকাতার ওম।
২০১৬ সালে মাহি নিজেকে ব্যতিক্রম রূপে হাজির করেন। নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমায় অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হন মাহি। সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন মেহের আফরোজ শাওন। এতে মাহির বিপরীতে ছিলেন রিয়াজ।
২০১৭ সালে মুক্তি পায় মাহির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় সিনেমা ‘ঢাকা অ্যাটাক’। দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত এই সিনেমা দেশজুড়ে একটা ঝড় তুলেছিল।