১৩০টিরও বেশি স্বাক্ষর করা একটি খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের সমর্থনে। লেখক গ্লোরিয়া স্টেইনেম এবং উল্লেখযোগ্য নারী অধিকার সংস্থাগুলোর স্বাক্ষরে চিঠিটি প্রকাশিত হয়েছে। এই বছরের জুন মাসে নিজের প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় হেরেছিলেন হার্ড। এরপর থেকেই সামাজিক এবং মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে অভিনেত্রীকে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।
এনবিসি নিউজের সাথে শেয়ার করা চিঠিটিতে নারীবাদী গোষ্ঠীগুলো সহ ‘ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর উইমেন’ এবং ‘উইমেনস মার্চ’ নিজেদের সমর্থন প্রকাশ করেছে অভিনেত্রীর প্রতি। আদালতের রায়ের পর থেকে ‘অ্যাকোয়াম্যান’ তারকা যে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন তার নিন্দা করা হয়েছে চিঠিৎতে। যৌন নিপীড়ন সচেতনতা এবং ঘরোয়া সহিংসতামুলক গ্রুপগুলোও সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে যে, বেশিরভাগই ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির কারণে হার্ডের প্রতি দুর্ব্যবহার ও হয়রানি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে। একজন নারীর সাংসারিক সহিংসতা এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগকে বিনোদন হিসেবে উপহাস করা হচ্ছে। এসব বিভ্রান্তি এবং ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা বিষয়গুলো এখন অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হচ্ছে, যারা নিজেদের উপর হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এই ধরনের আচরন ভুক্তভোগী নারীদের প্রতি আরো অন্যায় বাড়াবে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
জনি এবং অ্যাম্বার ২০১৫ সালে তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালের মে মাসে অ্যাম্বার জনির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পান। তিনি বলেছিলেন যে জনি তাদের সম্পর্কের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। জনি এটি প্রায়ই করত, যখন নেশায় থাকত।
বহুল আলোচিত এই মানহানি মামলায় অ্যাম্বার হার্ডের দোষের পাল্লাই বেশি ভারী বলে রায় দেয় আদালত। ফলে ডেপকে ১০.৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় অ্যাম্বার হার্ডকে। মামলায় পরাজিত হবার পাশাপাশি বিশাল অঙ্কের অর্থের জরিমানা গুনতে হবে হার্ডকে, যা এই মুহূর্তে হার্ডের জন্য খুব কঠিন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, বর্তমানে আর্থিক জটিলতায় ভুগছেন হার্ড।