English

17 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪
- Advertisement -

অর্ধডজন শিল্পীর প্রত্যাবর্তন

- Advertisements -

নাসিম রুমি: দেশের জনপ্রিয় কয়েকজন তারকা দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলেন। তাদের অভযোগ আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে ভিন্ন রাজনৈতিক মতের কারণে রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি। শুধু তাই নয়, সরকারি কোনো অনুষ্ঠানেও তাদের ডাকা হয়নি। চলতি বছর তাদের প্রত্যাবর্তন হয়েছে।

বঞ্চিত তারকাদের তালিকায় রয়েছেন নন্দিত কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। যার গান ছাড়া ঢালিউডে এক সময় কোনো সিনেমা হতো না, সেই শিল্পীকেও অর্ধযুগের বেশি সময় বিটিভি, বাংলাদেশ বেতারে ডাকা হয়নি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতনের পর মুখ খোলেন কনকচাঁপা। এতকাল গান ছেড়ে রান্নায় মনোযোগ দিয়েছিলেন তিনি। রন্ধনশিল্পী হিসেবে তার আলাদা পরিচয়ও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এই শিল্পী। এ কারণে বিগত সরকারের আমলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে।

এ দিকে আমেরিকার নিউইয়র্কে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’খ্যাত সংগীত তারকা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। ১০ নভেম্বর তিনি ঢাকায় পা রখেন। আওয়ামী শাসনামলে পেশাগত কাজে বারবার বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয় বেবী নাজনীনের সংগীত জীবন। বাংলাদেশ বেতার-টিভি-মঞ্চ কোনো মাধ্যমেই বেবী নাজনীন স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বিএনপির একনিষ্ঠ সমর্থক। বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারে ১৬ বছর তার গান গাওয়া হয়নি। ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে দেড় দশকের বেশি সময় আওয়ামী সরকারের রোষানলে ছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে তিনি একাধিকবার কথা বলেছেন। তবে সরকার পতনের পর রাষ্ট্রীয় টিভি-রেডিও থেকে গাওয়ার প্রস্তাব পেলেও তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি তিনি সরকারের অর্থনৈতিক শুমারির থিম সং গেয়েছেন।

নব্বই পরবর্তী দশকে দেশের অডিও ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সাড়া জাগানো কণ্ঠশিল্পী মনির খান। চলচ্চিত্রেও ছিল তার পদচারণা। অন্যদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনেও তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তিনি। ভিন্ন রাজনৈতিক মতের হওয়ায় তিনি ছিলেন সরকারি গণমাধ্যমের কালো তালিকাভুক্ত।

এ প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, “সর্বশেষ আমাকে ২০০৮ সালের পর আর বেতার থেকে ডাকা হয়নি। সে বছরই আমি কাউন্সিলে বিএনপির পদপদবি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। সক্রিয়ভাবে রাজনীতি শুরু করার পর শুধু বাংলাদেশ বেতারই নয়, শিল্পকলা একাডেমি, বিটিভিসহ কোনো সরকারি অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হয়নি। এখন পর্যন্ত আমাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।”

রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, নেত্রকোনায় তার বাড়িতে হামলা পর্যন্ত হয়েছে। অনেক আয়োজন থেকে ব্ল্যাক লিস্টেড করে রাখা হয়েছিল তাকে। এমনকি অনেক চূড়ান্ত হওয়া শো বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে সফরে গিয়ে কথাবার্তাও পাকা করে ফেলেছিলেন। যদিও পরে আর দেশত্যাগ করেননি এই শিল্পী।

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে গত ১৫ বছর গান গাইতে পারেননি আরেক জনপ্রিয় নজরুলসংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা। অংশ নিতে পারেননি কোনো অনুষ্ঠানে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও ফেরদৌস আরা বিটিভি ও বেতারের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কদিন আগে তার গাওয়া একটি আধুনিক গান প্রচার করা হয়েছে বিটিভিতে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন