১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশনের নতুন দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘মধুপুর’। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহষ্পতিবার রাত ৮টায় প্রচার হবে নাটকটি। এস.জে. মোশন পিকচারস্ প্রযোজিত নাটকটি রচনা করেছেন মমর রুবেল। পরিচালনা করেছেন এস.এম.শাহীন। অভিনয় করেছেন একঝাক তারকা শিল্পী। এরা হলেন, ফজলুর রহমান বাবু, অরুণা , ফারুক আহমেদ, নাদিয়া, মীর সাব্বির, এস. এম. মহসিন, নাজিরা মৌ, তানভির মাসুদ, তারিক স্বপন, আইরিন আজাদ, শেলী আহসান, জামিল, নাদিয়া মিম, মিতু তালুকদার, তানিয়া ঋতু, জুলফিকার চঞ্চল, হিমে হাফিজ, শাকিলা, মিম চৌধুরী, জান্নাত, হেদায়েত নান্নু, নাহার, নাসরিন, মোল্লা রাজা, ফারুক, সালেহা, শম্পা, গুণিন,স্বর্ণালী, রোমিও প্রমুখ।
নাটকের গল্প: মধুপুর। চীরচেনা বাংলার এক গ্রাম। তবে এক অভিশাপের কারণে আর দশটি গ্রাম থেকে মধুপুর একটু আলাদা। বিগত বিশ বছর ধরে মধুপুরের কোন ছেলের সাথে মধুপুরেরই কোন মেয়ের বিয়ে হওয়া বন্ধ আছে। যা এক গুণিনের গণনার ফলে আরো ত্রিশ বছর বলবত থাকবে। কাজেই মধুপুরে বেশ কিছু যুবক-যুবতী অবিবাহিত রয়ে গেছে। আশেপাশের গ্রামেও এদের বিয়ে দেয়া যাচ্ছেনা। কেননা সবাই জানে মধুপুর একটি অভিশপ্ত গ্রাম, এই গ্রামে ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দিলে বিপদ হবে।
গ্রামে আছেন একজন পেশাদার ঘটক। যাকে সবাই মনির ঘটক নামেই চেনে। এ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। তিনি হাজার চেষ্টা করেও গত বিশ বছরে গ্রামের কারো বিয়ে দিতে পারেননি। যার কী না নিজেরই দ্ইুজন মাতৃহারা বিবাহযোগ্যা কন্যা আছে। নূরজাহান ও দিলজান। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা হয়ে তিনি পরের ছেলে-মেয়ের বিয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যার ফলে দূরের এক গ্রাম থেকে তিনি ‘জলপরী’ নামক এক কন্যার ছবি এনেছেন। যাকে বিয়ে করার জন্য গ্রামে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। এভাবেই নাটকে আবির্ভাব ঘটে একের এক চরিত্রের। প্রামে শুরু হয় দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর উত্তেজনা। দেখা যায় লোভাতুর চরিত্র, অতিমানবিক মানুষ, শোষন নিপিড়নের যাতাকলে পিষ্ট মানুষ কখনো বা প্রতিবাদী চরিত্রের বিনাশ! কাহিনীর ভিতর তৈরি হয় আরেক কাহিনী। চারদিকে দেখা চিরচেনা চেনা চরিত্রগুলো নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘মধুপুর’ নাটকের কাহিনী।