এ কে আজাদ: রূপা খান। অভিনেত্রী। অভিনয় করতেন মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে। ষাট-সত্তরের দশকে লোককাহিনীভিত্তিক প্রায় সব চলচ্চিত্রেই তাঁকে দেখা যেতো রাজরাণী’র চরিত্রে অভিনয় করতে। বেশীরভাগ নাটক-চলচ্চিত্রেই নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতেন। তবে কিছু কিছু ছবিতে আদর্শবান মা ও ভাবীর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিনেত্রী রূপা খান-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯১ সালের ৯ জানুয়ারী, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। মৃত্যুদিবসে এই অভিনেত্রীর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
রূপা খান (কোহিনুর বেগম) ১৯৩০ সালের ১৪ আগস্ট, মাদারীপুর জেলায এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি পঞ্চাশের দশকে ঢাকার মঞ্চের জনপ্রিয় নাট্যশিল্পী ছিলেন। পরবর্তীতে বেতারনাটকে কাজ করেন।
রূপা খান এক সময় ঢাকায় নির্মিত চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে- জোয়ার এলো, রাজা সন্ন্যাসী, রহিম বাদশাহ ও রূপবান, জুলেখা, কূঁচবরন কন্যা, সুয়োরানী দুয়োরানী, চম্পাকলি, এতটুকু আশা, মানুষ অমানুষ, দীপ নিভে নাই, জীবন তৃষ্ণা, ভাড়াটে বাড়ী, আমার বউ, ময়ুরপংখী, গৃহবিবাদ, সারেন্ডার, দুই জীবন উল্লেখযোগ্য।
আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিজগতের শুরুর দিকের অভিনয়শিল্পী রূপা খান টেলিভিশনের নাটকেও নিয়মিত অভিনয় করেছেন। এদেশের চলচ্চিত্রের শুরুর দিকের এসব গুণি অভিনয়শিল্পীদের আজ আমরা ভুলেই গেছি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সূচনাপর্বের পর, আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে এদেরও অনেক অবদান রয়েছে।