অভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক বশীরুল হক-এর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০৫ সালের ২৮ জুন, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। বশীরুল হক-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
বশীরুল হক ১৯৪৩ সালের ২৩ মার্চ, ঢাকার ওয়ারীতে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পৈত্রীক বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়। তিনি সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ ছবিতে প্রথমে নায়ক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্নপ্রকাশ করেন। ছবিটি মুক্তিপায় ১৯৬৭ সালে। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে নায়িকা ছিলেন সুজাতা।
বশীরুল হক অভিনীত উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ছবিগুলো হলো- নয়া জিন্দেগী, বাবলু, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, চৌধুরী বাড়ী, একই অংগে এত রূপ, মুন্না আউর বিজলী, রজনীগন্ধা, ইত্যাদি।
বশীরুল হক নায়ক হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করলেও পরে তিনি খলনায়কসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পরবর্তিতে বিশিষ্ট প্রযোজক-পরিবেশক ও পরিচালক হয়ে চলচ্চিত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি অনেক ভালো ভালো ব্যবসাসফল ছবি প্রযোজনা করছেন। স্বনামধন্য প্রযোজক-পরিবেশক হিসেবে পেয়েছেন বিশেষ খ্যাতি। তাঁর প্রযোজনা সংস্হার নাম, চিত্রদূত (প্রাঃ) লিঃ। একসময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির উর্ধ্বতন সহ-সভাপতিও ছিলেন তিনি।
বশীরুল হক প্রযোজিত ছবি গুলোর মধ্যে- ডাকপিয়ন, দাতা হাতেম তাই, আসামী হাজির, আরাধনা, রজনীগন্ধা, হুর-এ আরব, আওয়াজ, আওয়ারা, অপরাধী, নিঃস্বার্থ, জেলহাজত, জালিমের দুশমন, রাজাবাবু, জনতার শত্রু এবং মনের মিলন অন্যতম।
‘অপরাধী’ ও ‘জনতার শত্রু’ নামের এই দুটি ছবি পরিচালনা করেছেন বশীরুল হক। ‘আরাধনা’সহ কয়েকটি ছবির কাহিনীও লিখেছেন তিনি।
বশীরুল হক অভিনেতা হিসেবে ততটা সফল না হলেও চলচ্চিত্র প্রযোক হিসেবে সফলতা পেয়েছেন ভালোভাবেই। তাঁর প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান ‘চিত্রদূত (প্রাঃ) লিঃ’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বহু, ভালোমানের, বাণিজ্যসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। প্রযোজক হিসেবে বশীরুল হক পেয়েছেন অনেক সুনাম ও খ্যাতি।