অবশেষে মৌসুমী ওমর সানীর মধ্যে দূরত্ব কমেছে। খেতে বসলেন এক টেবিলে। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ওমর সানী নিজেই একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়ে দিলেন, মৌসুমী ও তার মধ্যকার দূরত্ব দূর হয়েছে। খেতে বসেছেন এক টেবিলে।
শুধু তা-ই নয় এসবের পেছনের কারণ হলো জায়েদ খান মৌসুমীকে ডিস্টার্ব করেন। এটা ওমর সানীর ভাষ্য। রবিবার সন্ধ্যায় জায়েদের বিরুদ্ধে ওমর সানী সংসার ভাঙার চেষ্টার অভিযোগ তুলে শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই লিখিত অভিযোগে জায়েদ চার মাস ধরে তাদের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন, সে কথা উল্লেখ করেছেন ওমর সানী।
এসব নিয়েই দুই দিন ধরে দেশের শোবিজপাড়া উত্তপ্ত। চড় মারার যুক্তি দেখিয়ে ওমর সানী বলেছিলেন, ‘জায়েদ অনেক দিন ধরেই বেয়াদবি করে আসছিল। ওকে আমি সরাসরি পাচ্ছিলাম না। জানতাম বিয়েতে আসবে। ওকে কথায় কথায় চড় দিই। তখন জায়েদ পিস্তল উঠিয়ে গুলি করতে চায়। ওর কাছে তো লাইসেন্স করা পিস্তল আছে এটা তো সবাই জানেন। ’
ওমর সানী আরো বলেন, ‘জায়েদ খান তো সব সময় পিস্তল নিয়ে ঘোরে। ক্ষমতা দেখায়। ইন্ডাস্ট্রিতে ওর অত্যাচার সহ্য করতে করতে অনেকেই বিরক্ত। কেউ হয়তো মুখ ফুটে বলে না মান-সম্মান হারানোর ভয়ে। আমি ভাবলাম, আর দেরি নয়, এখনই শুরু করতে হবে। তাই চড়টা দিয়েই শুরু করলাম। আমি চড় মেরেই বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যাই। ’
তবে ওমর সানীর এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন স্ত্রী মৌসুমী। মৌসুমী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জায়েদ খান তাকে ডিস্টার্ব তো নয়ই, উল্টো সম্মান করেন। আর তিনিও জায়েদকে স্নেহ করেন। একই সঙ্গে মৌসুমী জানান, জায়েদের মন-মানসিকতা ভালো এবং তিনি ভালো ছেলে।
এর পরেই নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। পরে অবশ্য ওমর সানী নিজেও জানান, মৌসুমীর সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দেড় মাস ধরে ঝামেলা। অবশ্য ওমর সানী রাতে ছবি পোস্ট করে সে কথারই জবাব দিলেন।,