চঞ্চল চৌধুরী এখন পর্যন্ত যত ছবিতে অভিনয় করেছেন তার সবক’টিতেই তাকে একেবারেই আলাদা গল্প, চরিত্র ও লুকে দেখা গেছে। ২৯শে জুলাই মুক্তি পেতে যাওয়া তার নতুন ছবি ‘হাওয়া’তেও একেবারে ভিন্নধর্মী এক চঞ্চলকে আবিষ্কার করা যাবে, যার ঝলক এরইমধ্যে মিলেছে ছবিটির ট্রেলার ও গানে। কাঁচাপাকা চুলের অন্য এক চঞ্চলকে আবিষ্কার করা গেছে এখানে। ছবির ট্রেলারে দেখা গেছে, ট্রলারের পাটাতনে উৎসুক কয়েকটি মুখ। ওরা গভীর সমুদ্রে এসেছে মাছ ধরতে। প্রত্যেকের চেহারায় কৌতূহল, আতঙ্ক ও রহস্যের ছাপ। ট্রলারের ভেতর হঠাৎ পাওয়া গেছে এক জীবন্ত নারীকে। টর্চ জ্বেলে চঞ্চল চৌধুরী জিজ্ঞেস করেন মেয়েটিকে, কোন বোটেত্থে আইছো? সত্যি করে কও। মেয়েটি কোনো উত্তর দেয় না। চারপাশে রহস্যের জাল বিছিয়ে বসে থাকে নির্বিকার।
মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ সিনেমার ট্রেলার জুড়ে ভয়, রহস্য ও উত্তেজনা জিইয়ে রেখে এগিয়েছে গল্প। এ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি, শরিফুল রাজ, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান, সোহেল মণ্ডল প্রমুখ। ‘হাওয়া’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড, নির্মাণ সংস্থা ফেইসকার্ড প্রোডাকশন। চঞ্চল চৌধুরী এ ছবিতে তার অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের ইউনিট নিয়ে একটানা ৪৫ দিন সমুদ্রে ছিলাম। সে সময়ে সেন্টমার্টিনে থাকতাম।
প্রতিদিন সকালে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা ট্রলারে রওনা দিয়ে মাঝ সমুদ্রে শুটিং করেছি। এটা একদিন দু’দিন নয়, ৪৫ দিন! এর মাঝে ৪/৫ দিন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আমরা বসে ছিলাম। মাঝ সমুদ্রে ৪৫ দিন শুটিং করা, ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়া, এসব নতুন অভিজ্ঞতা। এই গল্পটা আসলে সিনেমার পর্দায় নিয়ে আসাটা খুব কঠিন কাজ ছিল। পুরো শুটিং নৌকার মধ্যে হয়েছে। ট্রলারের মাঝির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় এই জায়গাটা কতোটুকু নিরাপদ? তিনি জানান, মোটেও নিরাপদ না। এখানে হাঙ্গর আছে, এটা আছে, সেটা আছে। যেকোনো মুহূর্তে সমস্যা হতে পারে। এক কথায় জীবন বাজি রেখে কাজটা করেছি আমরা।