জনপ্রিয় হলিউড অভিনেত্রী আম্বার হার্ড নতুন একটি সিনেমা থেকে বাদ পড়ছেন। ‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ অভিনেতা জেসন মোমোয়ার সঙ্গে যথেষ্ট অন্তরঙ্গ নন, এ অভিযোগে বাদ পড়ছেন ৩৬ বছর বয়সী অভিনেত্রী।
ছবিতে অভিনেত্রীর বদলে অন্য কাউকে নেওয়ার কথা ভাবছেন, এমন খবর স্বীকার করেছেন প্রযোজনা সংস্থা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ডিসি ইউনিটের প্রধান ওয়ালটার হামানদা।
তিনি জানিয়েছেন, ছবিতে মারা চরিত্রে আম্বারের পরিবর্তে কাউকে নেবে কি না স্টুডিও কয়েক সপ্তাহ ধরেই সে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে।
তবে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাকুয়াম্যান’-এর প্রথম কিস্তিতেও নায়কের সঙ্গে অন্তরঙ্গতার অভাব ছিল আম্বারের।
‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ রোমান্টিক ছবি নয়। দ্বিতীয় কিস্তিতে দুই তারকার খুব বেশি অন্তরঙ্গ দৃশ্যও নেই। তার পরও কেন আম্বারকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে হামাদা তুলে ধরেন ‘অ্যাকুয়াম্যান’-এর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, প্রথম ছবির রোমান্টিক দৃশ্যগুলোতে আম্বার উতরে গেছেন সম্পাদনার কারণে।
রসায়ন তৈরি করা হয়েছিল পোস্ট প্রডাকশনে। জনি ডেপের সঙ্গে আম্বার হার্ডের মামলার সঙ্গে অভিনেত্রীর ছবি থেকে বাদ পড়ার সম্পর্ক অবশ্য না থেকেও আছে। কারণ, চলমান মামলায় জনি ডেপের পক্ষে মামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী ছিলেন হামাদা।
‘অ্যাকুয়াম্যান টু’তে আম্বারকে নেওয়া নিয়েও কম নাটক হয়নি। প্রথম কিস্তির জন্য ১০ লাখ এবং সিক্যুয়েলের জন্য ২০ লাখ ডলার পারিশ্রমিকে চুক্তি হয় তার সঙ্গে। প্রথম ছবির সাফল্যের পর সিক্যুয়েলের পারিশ্রমিক নিয়ে অভিনেত্রী মোটেও খুশি ছিলেন না।
কিন্তু আম্বার যে পারিশ্রমিক নিয়ে দরকষাকষি করবেন, সে সুযোগ ছিল না। কারণ, তখন তিনি সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারের মানহানি মামলার কারণে ভুগছিলেন ইমেজ সংকটে। মামলা করায় জনির ভক্তরা আম্বারকে ধুয়ে দিচ্ছিলেন।
‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ থেকে বাদ পড়া নিয়ে আম্বারের কোনো বক্তব্য অবশ্য এখনো পাওয়া যায়নি।