বলিউড অঞ্চলে এবার পর্নকাণ্ডে বড়সড় মোড়। ড্রিঙ্কসে মাদক মিশিয়ে অজ্ঞান করে পর্ন ভিডিও শুটের অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স পরী পাসওয়ান।
ভারতের ধানবাদের বাসিন্দা পরী পাসওয়ান। মডেলিং করার শখ ছিল ছোট থেকেই। গ্ল্যামার দুনিয়ার পায়ের জুতো গলাতে মুম্বাই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখানেই নাকি এমন অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার শিকার হন পরী। ২০১৯ সালে মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স হয়েছিলেন তিনি। এরপরই নীরজ পাসওয়ানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সংসার পাতেন। যদিও বিয়ের মাস খানেকের মধ্যেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী নীরজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নীরজের গ্রেপ্তারের পরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা পরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। নীরজের দাদা চন্দন নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। উল্টো নীরজের পরিবারের অভিযোগ পর্ন ফিল্মে অভিনয় করতেন পরী। পাশাপাশি আরো অভিযোগ তোলেন, নীরজের আগেও দুটি বিয়ে রয়েছে পরীর। ১২ বছরের এক সন্তানও রয়েছে তাঁর।
পরিবারের পক্ষ থেকে, নীরজের জীবন নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে পরীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে রাজ কুন্দ্রা পর্নোগ্রাফি মামলায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে পরীর, সেই অভিযোগও তুলেছেন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
শ্বশুর বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ খুলেছেন পরী। তিনি জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন তিনি। এক প্রযোজনা সংস্থার অফিসে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে ড্রিঙ্কসের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল তাঁকে। অজ্ঞান অবস্থাতে পর্ন ভিডিও শুট করা হয় তাঁর। এরপরই তা অন্তর্জালে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয় মুম্বাইয়ের এক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরী পাসওয়ান। যদিও তাতে কোনো ফলই হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, পর্নকাণ্ডে সরগরম ভারতের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। পর্নফিল্ম তৈরি এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গত ৯ জুলাই শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। তবে রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে পরী পাসওয়ানের ঘটনার কোনো যোগাযোগ রয়েছে নাকি তা এখনও জানা যায়নি।