গেল ১৪ মার্চ জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর নামে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তি ভঙ্গ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস লিমিটেড (আলফা আই)। টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের মধ্যস্থতায় গেল ১৬ মার্চ সমাধান হয় এ বিষয়টির।
বৈঠক শেষে উভয়পক্ষ সম্মত হয় যে, অভিযোগটি অর্থ আত্মসাৎ বলা হলেও এটি আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে কাজের চুক্তি বিষয়ক জটিলতা। তার প্রেক্ষিতে দুই পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই গেল শনিবার গুলশানের নিকেতনের টেলিপ্যাবের অফিসে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন সবাই।
বৈঠক শেষে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, চুক্তি মোতাবেক উভয়পক্ষই পরিপূর্ণভাবে কার্য সম্পাদন করেননি। চুক্তি অনুযায়ী জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন এবং বাকি নাটকগুলো আর না করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে অপূর্বকে বাকি যে নাটক বাবদ অগ্রিম অর্থ দেওয়া হয়েছে তা উভয়পক্ষ সমন্বয় করে নেবেন।
সেসময় টেলিপ্যাব জানিয়েছিল, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নাটকে অভিনয় না করে নেওয়া বাড়তি অর্থ অপূর্ব টেলিপ্যাবের মাধ্যমেই ফেরত দেবেন। অবশেষে সেই অর্থের চেক ফেরত দিয়েছেন অপূর্ব।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরের পর টেলিপ্যাবের অফিস থেকে চেকটি সংগ্রহ করেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। টেলিপ্যাবের সভাপতি মনোয়ার পাঠানের কাছ থেকে চেকটি নেওয়ার একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে শাকিল।
পোস্টে তিনি জানান, আমরা বরাবরই বিশ্বাস রেখেছিলাম বিষয়টি টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের মাধ্যমে সঠিক, ন্যায় সম্মত সমাধান হবে। ধন্যবাদ টেলিপ্যাব, অভিনয় শিল্পী সংঘ এবং বন্ধু অপূর্ব।
জানা গেছে, ৯টি নাটকের সম্মানী বাদ দিয়ে বাকি যে টাকা অগ্রিম দেওয়া ছিল সেটার পুরোটা অপূর্ব ফেরত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জিয়াউল ফারুক অপূর্বর নামে তোলা অভিযোগে আলফা আই উল্লেখ করেছিল যে, ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ২৪টি নাটকের জন্য ৫০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে মাত্র ৯টি নাটকে কাজ করে ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বিরত ছিলেন অপূর্ব। এতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে।
এমন অভিযোগ এনে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রগ্রাম প্রডিউসার’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব) এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন আলফা আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া (শাহরিয়ার শাকিল)।