English

19 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

সুকেশের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন চাহাত খান্নাও

- Advertisements -

সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও নোরা ফতেহির। এবার সুকেশের সঙ্গে নাম জড়াল আরও এক অভিনেত্রীর। আর ইনি হলেন টেলি অভিনেত্রী চাহাত খান্না।

দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে সুকেশ চন্দ্রশেখরকে নিয়ে এমনই বক্তব্য দিয়েছেন চাহাত। তার কথায়, সুকেশকে তিনি জানতেন একটি জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় টিভি চ্যানেলের মালিক হিসাবে, জানতেন প্রয়াত জয়ললিতার ভাগ্নে হিসাবে।

চাহাত জানান, ঘটনাটা ২০১৮ সালের, তিনি দিল্লির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। মুম্বাই বিমানবন্দরে অ্যাঞ্জেল খান নামে এক নারীর সঙ্গে তার দেখা হলে বলেন, তিনিও যাচ্ছেন ওই একই স্কুলে। এর পর বিমানবন্দর থেকে নেমে তারা একই গাড়িতে ওঠেন। মাঝে অ্যাঞ্জেল বলেন, এই গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না, অন্য গাড়ি নিতে হবে। এর পর অন্য একটি গাড়িতে তারা যাত্রা শুরু করেন। স্কুলে নয়, তিহার জেলে এসেছেন।  তখনই বুঝে যান তিনি ফেঁসে গেছেন। তিহার জেলের একটা ঘরে আমায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে ল্যাপটপ, ঘড়িসহ নানান বিলাসবহুল জিনিস।

চাহাতের দাবিমতো সুকেশের সহকারী পিঙ্কি ইরানির সঙ্গে অ্যাঞ্জেল খানের যোগাযোগ ছিল। চাহাতের কথায়, সেখানে শেখর রেড্ডি নামে এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে দেখা করেন, অ্যাঞ্জেল একপ্রকার তার কোলে বসে তাকে চুম্বন করতে থাকেন, যা দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে পালাতে চাইলে অ্যাঞ্জেল তাকে আটকে দেন। জানান তিনি তার বন্ধু। এর পর মুম্বাই ফিরে ক্রমাগত ফোনে হুমকি পেতে থাকেন। যদিও অ্যাঞ্জেল তাকে ব্লক করে দিয়েছিলেন।

এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ১০ লাখ টাকা না দিলে তার তিহার জেলের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকায় রফা হয়। যে টাকা দিতে আমি বাবার থেকে এক লাখ টাকা ধার করি। যদিও তারা কারা, তা এখনো পর্যন্ত জানি না।

চাহাত জানান, সুকেশ প্রায়ই তাকে আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন করত, আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিত, প্রশ্ন করত কিছু প্রয়োজন কিনা।  সুকেশ বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর ‘আমি চিৎকার করে বলেছিলাম— আমি বিবাহিত এবং আমার দুটি সন্তান আছে। কিন্তু সুকেশ বলেছিলেন যে, আমার স্বামী আমার জন্য সঠিক মানুষ নন এবং তিনি আমার সন্তানদের বাবা হবেন। এসব কথায় এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম যে আমি কাঁদতে লাগলাম।

চাহাত জানান, এ ঘটনা ঘটেছিল ইডি এই মামলায় তাকে ডেকে পাঠানোর বহু আগে।

প্রসঙ্গত ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি রাখা হয়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন