হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড ও তার সাবেক স্বামী জনি ডেপের আইনি লড়াই এখনো চলমান। মানহানি মামলার শুনানির সময়েই ডেপ দাবি করেছিলেন, তিনি গৃহ-সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এবার ডেপের এমন দাবির পক্ষে প্রমাণও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রকাশ করা ৬০০০ পৃষ্ঠার আইনি দলিলপত্র উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য!
অ্যাম্বার হার্ডের বোন হুইটনির নাকি তার বসকে বলেছিলেন, হার্ড ঝগড়ার সময় ডেপের আঙুল কেটে ফেলেছিলেন।
অ্যাম্বার হার্ডের বোন হুইটনি হেনরিকেজ তার কর্মক্ষেত্রের বস জেনিফার হাওয়েলের কাছে সেদিনের ঘটনা প্রকাশ করেছিলেন। জেনিফার হাওয়েল পেশায় একজন কিউরেটর। ২০১৫ সালের দিকে তার সঙ্গে কাজ করতেন হুইটনি। একদিন হাওয়েলের সঙ্গে আলাপচারিতায় বোনের সহিংস আচরণের কথা ফাঁস করে দেন হুইটনি।
হাওয়েল তার জবানবন্দীতে বলেন, ‘হুইটনি ফোনে কারো সাথে কথা বলে এসে হন্তদন্ত হয়ে বলতে থাকে- সে তার (জনি ডেপ) আঙুল কেটে ফেলেছে, সে তার আঙুল কেটে ফেলেছে! তারপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে বলতে থাকে- আমার এখনই কাউকে কল করতে হবে।’
হাওয়েলের বক্তব্যের পর তাকে জেরা করতে থাকেন ডেপের আইনজীবি কামিলে ভাসকেস। তিনি স্পষ্ট করে জানতে চান এখানে ‘সে’ বলতে কাকে বোঝানো হচ্ছে। তখন হাওয়েল জানান, ‘এখানে ডেপ-হার্ড এর কথাই বলা হচ্ছে। অ্যাম্বার হার্ড জনি ডেপের দিকে বোতল ছুঁড়ে মারেন এবং এতে ডেপের আঙুলের একাংশ কেটে যায়। বাইরে থেকে ফোনে কারো সাথে কথা বলে এসে এমনটাই জানিয়েছিল হুইটনি।’