নাসিম রমি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদরের কনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেলের শেষ আকুতি ছিল ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের যে বর্বরতম রাতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পুরো পরিবার (দুই কন্যা ব্যাতিত) ও নিকট আত্মীয়দের হত্যা করা।
সেই পুরো হত্যাযজ্ঞ শেখ রাসেল নিজ চোখে দেখেছিলেন লুকিয়ে থেকে।
একে একে প্রাণের চেয়ে প্রিয় বাবা, মা, বড় দুই ভাই, ভাবীসহ আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুর আর্তনাদ শুনেছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মধ্যে সবশেষে ঘাতকদের শিকার হন শেখ রাসেল। তাকে হত্যার আগে রাসেলের শেষ দুটি বক্তব্য ছিল ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’ আর ‘আমাকে হাসু আপার আছে দিয়ে আসো’।
এই গল্প ইতিহাসের পাতায় থাকলেও ভিজ্যুয়াল প্রথমবারের মতো নির্মাণ করেন নাট্যকার সহিদ রাহমান।
এবার সেই গল্প তিনি আরও বৃহৎ পরিসরে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন।
টেলিছবির নামকরণও করা হয়েছে ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’। বুধবার অফিসার্স ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে টেলিছবিটির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর ও পোস্টার উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় নাট্যকার সহিদ রাহমানসহ উপস্থিত ছিলেন টেলিছবির নির্মাতা হাসান রেজাউল, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর প্রসূন রহমান, শেখ রাসেল চরিত্রে অভিনয় করতে যাওয়া শিশুশিল্পী দিহান, বঙ্গমাতা চরিত্রের শিল্পী জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি, শেখ কামাল চরিত্রের অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ানো তন্ময়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
সহিদ রাহমান জানান, টেলিছবিটির শুটিং শুরু হবে আগামী ১০ মার্চ থেকে। যেহেতু ১৬ জুন সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো হবে ভারতের কলকাতা ও দিল্লীতে, তাই তার আগেই সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর ঢাকাতেও বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে।
কেমন ছিল রাসেলের জীবনের ১০ টি বছর? তার জীবন প্রবাহের সময়গুলো ফিরে দেখা আর সৃজনশীল আবহে পূণঃনির্মানের চেষ্টা থাকবে ‘আমি মায়ের কাছে যাবো’ নামের এই ৯০ মিনিটের টেলিছবিতে। সহিদ রাহমানের ‘মহামানবের দেশে’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই টেলিছবির ধরন হবে বায়োগ্রাফিক্যাল/জীবনালেখ্য।