পহেলা ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে জাহিদ হাসানের নতুন ধারাবাহিক ‘ভাল্লাগেনা’। বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে সপ্তাহে তিন দিন শনি, রবি ও সোমবার রাত ৮.৪০ মিনিটে। হানিফ খানের পরিচালনায় নাটকটি রচনা করেছেন জাকির হোসেন উজ্জল। অভিনয় করেছেন, জাহিদ হাসান, স্বর্ণলতা দেবনাথ, ডা. এজাজ, সাদিয়া তানভীন, সৈয়দা নওশিন দিশাতন্ময় সোহেল, আমিন আজাদ, তারিক স্বপন, তাবাসসুম মিথিলা, কামরুন্নাহার রুমা, শেখ চাঁদনী, মোমিন বাবু প্রমুখ।
নাটকের গল্প নিয়ে বলতে গিয়ে অভিনেতা জাহিদ হাসান বলেন, বিয়ে এক সামাজিক চুক্তি, যা দ্বারা একটি পরিবারের সৃষ্টি হয়।আর সেখানে তৈরী হয় প্রেম ,ভালোবাসা, মায়া-মমতা øেহভরা সুখের সংসার।তবে একই ছাদের নীচে থাকতে গেলে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়, হয় ঝগড়া-বিবাদও। কখনো সখনো সেই বিবাদ গিয়ে পৌঁছায় চূড়ান্ত বিচ্ছেদে।হতাশা নেমে আসে জীবনে।
আর এসব থেকেই কারো কারো বিয়ের প্রতি ভয় এবং অনিহা চলে আসে। তারা মনে করে বিয়ে মানেই একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া। এই বিঢেভীতি বা অনিহা এক ধরনের মানসিক রোগ- যাকে আমরা গ্যামোফোবিয়া নামে চিনে থাকি। যারা মানসিকভাবে এই ফোবিয়ায় আকান্ত্র তারা আসলে নতুন সম্পর্ক নিয়ে আতঙ্কে থাকেন। বিবাহিত জীবন নিয়ে ভয় কাজ করে। নিজের ব্যক্তিস্বাধীনতার জায়গাটুকু খর্ব হতে পারে কিংবা মানিয়ে চলা যাবে কিনা এ ধরনের ভয় কাজ করে তাদের মাঝে। এমন কিছু মানুষের মনস্তাত্তিক বিষয় নিয়েই নাটক ‘ভাল্লাগেনা’।
যেখান থেকে শুরু: নাটকের শুরুতে দেখা যাবে- বরযাত্রী নিয়ে বিয়ের জন্য রওয়ানা দিবে পুলক। পুলকের বিয়ে নিয়ে সবাই খুব এক্সাইটেড। একজন আরেকজনকে তাড়া দিচ্ছে। ব্যান্ডপার্টির সাথে নাচানাচি করছে মহল্লার যুবকরা। এমন সময় একজন ছুটে এসে জানায়- এই বিয়ে হবে না। বিয়ের পাত্রী নাকি পালিয়ে গেছে।
বিয়ে বাড়ির সব মানুষ যেন আকাশ থেকে পড়ে। পুলকের বিয়ে ভাঙ্গার ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগেও সাতবার বিয়ে ভেঙ্গেছে তার। বিয়ে ভাঙতে ভাঙতে সবাই তার বিয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছে। পুলকের বোন অনেক খাটাখাটনি করে এই বিয়েটা ঠিক করেছিল। পাত্রীপক্ষ এমনকি পাত্রী নিজেও পুলককে পছন্দ করেছে। সপ্তমবারের মতো এই বিয়ে ভাঙ্গার ঘটনায় পুরো বাড়ির সকলের মন ভেঙ্গে যায় কিন্তু কেবল একজনই খুশি। আর সে হচ্ছে পুলক নিজে। বিয়ে চূড়ান্ত হবার পর পুলক গোপনে মেয়ের সাথে দেখা করে তাকে বুঝিয়ে বলে এসেছে, সে যেন বিয়েটা ভেঙ্গ দেয় কারণ পুলকের সংসার ভালো লাগে না। পরিবারের চাপে সে বিয়ে করলেও তিন দিনের মধ্যেই ডিভোর্স দিয়ে দিবে। এমন কথা শুনে মেয়েটা বিয়ে ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হয়। ভাল্লাগেনা নাটকের গল্পের শুরুটা আসলে এখান থেকেই।