নাসিম রুমি: বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ-সালমানসহ কেউ যার পার্টির আমন্ত্রণ কখনও উপেক্ষা করতেন না, শত কাজ ফেলেও ছুটে আসতেন তার এক ডাকে। কারণ যখনই কোনও তারকা বিপাকে পড়েছেন, তিনি সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বাবা সিদ্দিকি, মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় রাজনীতিক। বিনোদন জগতের সবার সঙ্গে নিত্য উঠাবসা ছিল তার। ১০ বছর আগে এক ইফতার পার্টিতে শাহরুখ-সালমান—দুই খানের দ্বন্দ্ব মিটিয়েছিলেন তিনি।
একটা সময় দীর্ঘদিন মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল সালমান-শাহরুখের। ২০০৮ সালে ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে একটি ছোট্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল এই মনমালিন্য। এর জেরেই চিড় ধরেছিল দুই তারকার সম্পর্কে। অবশেষে অভিমান ভুলে ২০১৪ সালে বাবা সিদ্দিকের ইফতার পার্টিতে সালমানকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন শাহরুখ। বাবা সিদ্দিক তখন বান্দ্রা পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক। যে মুহূর্তের ছবি আজও গাঁথা রয়েছে এই দুই তারকার ভক্তদের হৃদয়ে। এরপর অসংখ্যবার বাবা সিদ্দিকের পার্টিতে একফ্রেমে দেখা দিয়েছেন দুই খান।
শোনা যায় যে, বলিউডের অন্যান্য তারকাদের কাছ থেকেই সিদ্দিককে সালমান ও শাহরুখের মাঝে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেজন্য এই রাজনৈতিক নেতা সূক্ষ্ম উপায়ে মিটিয়েছিলেন দুই বন্ধুর দ্বন্দ্ব। ইফতার পার্টিতে সেদিন শাহরুখের পাশে বসেছিলেন সালমানের বাবা বর্ষীয়ান চিত্রনাট্যকার সেলিম খান। এ সময় সালমান আসার আগে তারা দুজন গল্প করছিলেন। পরে ‘ভাইজান’ হেঁটে আসতেই শাহরুখ উঠে দাঁড়ান এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। এভাবেই মিলিয়ে যায় এই দুই সুপারস্টারের বিরোধ।
তবে শুধু শাহরুখ কিংবা সালমান নন, সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও বাবা সিদ্দিকের ছিল খুব ঘনিষ্ঠতা। তবে বলিউড ঘনিষ্ঠতা থাকলেও রাজনীতিক হিসাবেই বাবা সিদ্দিক পরিচিতি পেয়েছেন বেশি। গত শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান বিপুল সম্পত্তির মালিক বাবা সিদ্দিকি। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটে গেছেন ‘মুন্না ভাই’খ্যাত অভিনেতা।