নাসিমরুমি: দিনভর শুটিং করলেও শাকিব খান আর শবনম বুবলী দুজনে কেউ কারও সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। দৃশ্যধারণ শেষ হতে না হতেই দুজনেই আলাদা দুই জায়গায় গিয়ে বসেন। পরিচালকের ডাক পড়লে আবার তাঁরা ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়াতেন। তাই তো ভিন্ন ধরনের পরিকল্পনায় রোমান্টিক ধাঁচের এই গানের শুটিং করতে হয়েছে। নায়ক–নায়িকা দুজনের সিদ্ধান্তের কারণেই এমন বদল আনতে হয়েছে বলে জানান শুটিং–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত শুক্রবার সকালে শাকিব খান ও বুবলীর আড়াই বছর বয়সী সন্তান শেহজাদ খানের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকেই তাঁদের ঘিরে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনে তাঁদের সন্তানের খবরটি প্রকাশ্যে আনেন।
তবে সরাসরি কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তাঁরা। কারও সঙ্গে কথা না বলার কারণেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই দুই তারকা। সবারই চাওয়া ছিল, দুই তারকার বয়ানে কিছু জানানো গেলে খুব ভালো হয়। কিন্তু না, কেউই তাঁরা কোনো কথা বলেননি। গতকাল সারা দিন ধরে চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। শনিবারের শুটিংয়ের খবরটি ছড়িয়ে গেলে, সেখানে একটা সুযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এদিনও শাকিব–বুবলীর কেউই সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছুই বলেননি। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁদের শুটিং।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজারের একটি পাঁচতারা হোটেলে গানের শুটিং করছিলেন শাকিব ও বুবলী। সন্তানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর এটি তাঁদের দুজনের প্রথম শুটিং। ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শুটিং শুরু করেন। এই ছবির পরিচালক তপু খান।
তিনি বললেন, ‘শুটিংয়ে দুজন ভীষণ আন্তরিক ছিলেন। সময়ের আগে তাঁরা শুটিং সেটে এসে পৌঁছান। আমরাও সুন্দরভাবে শুটিং করেছি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে শাকিব ভাই তাঁর অংশের শুটিং শেষ করেছেন। আর রাত ১১টায় শেষ হয় বুবলীর শুটিং।
জানা গেছে, শাকিব খান ও বুবলী দুজনে শুটিং করছেন ঠিকই, কিন্তু শুটিংয়ের বাইরে তাঁরা কেউ কারও দিকে একবারের জন্যও তাকাননি। এমনকি দৃশ্য ধারণ শেষে দুজনে দুজনের মতো করে আলাদা জায়গা বসেছিলেন। লম্বা বিরতি যখন ছিল, তখন তাঁরা যাঁর যাঁর রুমে চলে যান। ইউনিট–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার এই পাঁচতারকা হোটেলে দুজনের জন্য আলাদা দুটি কক্ষ ভাড়া করেন ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। তাঁদের জন্য বরাদ্ধ করা কক্ষ দুটির নম্বর হচ্ছে ৭১০-৭১২।