নাসিম রুমি: ঢাকায় যখন সিনেমা নির্মাণ শুরু হয়, সেই সময় থেকেই তিনি যুক্ত। একেবারে সাদাকালো রূপালি দিনের অভিনেতা তিনি। তবু সাবলীল অভিনয়ে এখনো তিনি উজ্জ্বল হয়ে আছেন ঢালিউডের ইতিহাসে। তিনি খান জয়নুল। ঢাকাই সিনেমার অন্যতম কৌতুক অভিনেতা।
আজ ৫ জুলাই খান জয়নুল জন্মদিন। ১৯৩৬ সালের এই দিনে তিনি বিক্রমপুর জেলার লৌহজং-এর রানাদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শুধু কৌতুক অভিনেতাই ছিলেন না, নাট্যকার ও কাহিনিকার হিসেবেও তার কাজ আলো ছড়িয়েছে।
খান জয়নুলের অভিনয় জীবন শুরু হয় কলকাতা থেকে। দেশভাগের সময় তিনি কলকাতায় গিয়ে ছোটখাটো বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। যখন চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বা এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হলো, তখন তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান।
নায়ক রাজ্জাক অভিনীত ‘১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন’ সিনেমার কাহিনিকার ছিলেন খান জয়নুল। পাশপাশি অভিনয়ও করেন তিনি। এছাড়া গুণী এই ব্যক্তি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছিলেন সাপ্তাহিক ‘পূবালী’ পত্রিকায়।
খান জয়নুল তার ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন অর্ধশত সিনেমায়। এর মধ্যে রয়েছে- ‘সুতরাং’, ‘কাঁচকাটা হীরে’, ‘সন্তান’,। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘দর্পচুর্ণ’, ‘সপ্তডিঙ্গা’, ‘মিশর কুমারী’, ‘অন্তরঙ্গ’, ‘মাটির মায়া’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘দিনের পর দিন’, ‘স্মৃতি তুমি বেদনা’, ‘ময়নামতি’, ‘সাইফুল মুলুক বদিউজ্জামান’, ‘গোপাল ভাঁড়’, ‘মধু মিলন’, ‘ডাক পিয়ন’ ইত্যাদি।
১৯৮০ সালে গাফফার খান পরিচালিত ‘দিওয়ানা’ ছিল খান জয়নুল অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা। এরপর ১৯৭৮ সালের ১৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন গুণী এই অভিনেতা।