English

22 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

যদি বাঘা যতীন বেঁচে থাকতেন, গান্ধীজির জন্ম হত না: দেব

- Advertisements -

নাসিম রুমি: পুজোয় স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঘা যতীনের গল্প দর্শকদের জন্য নিয়ে আসছেন দেব। শুধু বাংলায় নয়, গোটা দেশে মুক্তি পাচ্ছে এই সিনেমা। দেব চান, বাঙালি এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর গল্প জানুক গোটা দেশ। জানুক তাঁর অবদান। বাঙালি গর্ব করুক।

পুজোয় যে ৪টি ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাতে জনপ্রিয়তার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে দেবের বাঘা যতীন। পুজোয় এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর চরিত্র নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন দেব। করোনা পরবর্তী সময়েও দর্শককে হলমুখী করেছেন অভিনেতা টনিক, প্রজাপতির মতো সিনেমা দিয়ে। আর এবার পালা বাঘা যতীন-এর। অভিনেতার শেষ রিলিজ ব্যোমকেশ বক্স অফিসে ভালো ফল করলেও, পায়নি কাঙ্খিত সাফল্য। এখন তাই পাখির চোখ বাঘা যতীন। দেব এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি সামলেছেন প্রযোজনার দায়িত্বও।

বাঘা যতীন রিলিজ করছে শুধু বাংলাতে নয়, দেশ জুড়েই। কদিন আগে মুম্বইতেও গিয়েছিলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ ছবির প্রচারে। স্বাধীনতা সংগ্রামী বাঘা যতীনের নামটা শুনলেই দুটো কথা মনে আসে বাঙালির। এক হল খালি হাতে বাঘের সঙ্গে যুদ্ধ করা আর দুই হল বুড়িবালামের যুদ্ধ। কিন্তু তাঁর বাইরেও যে তাঁর অবদান কতটা তাই তুলে ধরেছেন এই ছবিতে পরিচালক অরুণ রায়।

‘এই ছবিতে ৯২টা চরিত্র রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই কিন্তু শুধু চরিত্র নয়। দেশের স্বাধীনতায় এদের অবদান অনস্বীকার্য। বাঘা যতীনের নাম তো তাও জায়গা পেয়েছে বইয়ের পাতায়। কিন্তু এদের বেশিরভাগারই নাম নেই কোথাও। আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামী বলতে গেলে চার-পাঁচজনকেই মনে রাখি। আমি বাঘা যতীন করছি বলে কাওকে ছোট করছি না।

চার্লস টেগাট যিনি ব্রিটিশদের সবচেয়ে ডাকসাঁইটে অফিসার ছিলেন তাঁর আত্মজীবনীতে লেখা আছে, যদি বাঘাযতীন বেঁচে থাকতেন তাহলে গান্ধীজির জন্ম হত না। বুড়িবালামে যদি জাহাজ পৌঁছে যেত, ভারতবর্ষের ১-২ বছর লাগত স্বাধীনতা পেতে। ওই অস্ত্র যদি জার্মানি থেকে আসত দেশে। ১৯১৫-১৯১৭-এর মধ্যে স্বাধীনতা পেয়ে যেত ভারত। আমার মনে হয় বাঙালি কেন, দেশের প্রত্যেকটা মানুষের জানা উচিত। তাই বাইরে একটা হলেও হলে মুক্তি পাক বাঘা যতীন।এক সাক্ষাৎকারে বলেন দেব।

দেব আরও বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য শুধু একটা সিনেমা নয়। একটা আবেগ। গত আড়াই বছর ধরে আমরা এই সিনেমাটার মধ্যেই কাটিয়েছি। আমি একা নই, আমার পুরো টিম। আমি চাই বাঘা যতীন নিয়ে গর্ব করুক সব বাঙালি’।

পুজোর ছবি হিসেবে চলতি বছরে বাঘা যতীনকে কড়া টক্কর দেবে সৃজিতের দশম অবতার। যাতে রয়েছেন প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ, যিশু ও জয়া আহসান। এছাড়াও রয়েছে রক্তবীজ ছবি। যা পরিচালনা করেছেন নন্দিতা আর শিবপ্রসাদ। মুখ্য চরিত্রে আবির ও মিমি। এবং কোয়েলের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন