২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে নানা বিতর্ক আর সমালোচনার মধ্যেও প্রস্তুতির কাজ থামিয়ে দেয়নি কাতার। গত কয়েকটি বিশ্বকাপের সমান খরচ করতে হয়েছে তাদেরকে। অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনের।
দীর্ঘ একযুগের আয়োজন শেষ হয়ে গেলো মাত্র এক মাসের মহাযজ্ঞ আয়োজনে। সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টার কাটা গড়িয়ে শেষ হতে চললো এই মহা আয়োজনের সবকিছু। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে মহাযজ্ঞের সব আয়োজন। ভেঙে যাবে সব মিলনমেলা। বেজে উঠবে বিদায়ের করুণ সুর।
বিশ্বকাপ ফাইনালের আগেই একটি জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কাতার। মাত্র ১৫ মিনিটের সেই অনুষ্ঠানেই চোখ ধাঁধিয়ে দিতে চায় তারা। এই অনুষ্ঠানেই সংমিশ্রন ঘটাতে পারে হলিউড-বলিউডের গ্ল্যামারের।
সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য শনিবার থেকে সাজানো হয়েছে দোহার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক দেড় ঘণ্টা বা ৯০ মিনিট আগে শুরু হবে এই অনুষ্ঠান। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৪টা। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৭টায় শুরু হবে সমাপনী অনুষ্ঠানটি।
খুব দীর্ঘ নয়, সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাই করা হয়েছে। মাত্র ১৫ মিনিটের অনুষ্ঠানেই ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে চান আয়োজকরা। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার মধ্যে সবাইকে আসন গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
ছোট অনুষ্ঠান হলেও বিনোদন জগতের একাধিক তারকাকে দেখা যাবে বিশ্বকাপের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। তাদের মধ্যে অন্যতম বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফতেহি। ‘আ নাইট টু রিমেম্বার’ নামে একটি গানের সংকলন চলবে, যেখানে এই বিশ্বকাপের স্মরণীয় মুহূর্তগুলি ভিডিওর সাহায্যে দেখানো হবে।
বিশ্বকাপের আর একটি গান ‘আর্বো’ গাইবেন ওজুনা এবং গিমস। প্রথম এবং শেষ গানের মাঝে বিশ্বকাপের থিম সং ‘হায়া হায়া’ গাইবেন আমেরিকার গায়ক ডেভিডো এবং আইশা। নোরা দু’দিন আগেই কাতার পৌঁছে গেছেন সমাপণী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য।
এরপরই থাকছে আসল চমক। তিনজনের সঙ্গে মঞ্চে নাচতে দেখা যাবে নোরা ফাতেহীকে। তার সঙ্গী হবেন বালকিস, রহমা রিয়াদ এবং মানাল। ‘লাইট দ্য স্কাই’ গানের সঙ্গে নাচবেন তারা। কথা ছিল বলিউড অভিনেত্রী দিপিকা পাড়ুকোনেও পারফর্ম করবেন সমাপনীতে; কিন্তু অনুষ্ঠানের যে সূচি পাওয়া গেছে, তাতে দিপিকার নাম দেখা যায়নি।