টালমাটাল পায়ে গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়ান সালমান খানের ছোট ভাই সোহেল খানের প্রাক্তন স্ত্রী সীমা। এতটাই মদ্যপ হয়েছেন যে, নিজের পায়ে ঠিকমতো দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছেন না। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকবার পড়তে পড়তে দেয়াল ধরে নিজেকে সামলান। এর মাঝেও পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় পোজ দেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সীমা।
মালাইকা আরোরা সীমার বড় জা ছিলেন। ‘মুভিং উইথ মালাইকা’ শিরোনামে একটি শো শুরু করেছেন আরবাজ খানের এই প্রাক্তন স্ত্রী। চলতি মাসে এ শোয়ের প্রচার শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পেয়েছেন। এই শোয়ে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সীমা। এতে সেই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে কথা বলেন সীমা।
মূলত, করন জোহরের বাড়িতে একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন সীমা। আর সেখানে মাতাল অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি হন। আলোচনার শুরুতে মালাইকা বলেন— ‘সম্প্রতি তোমার একটি ভিডিও দেখেছি। আমি নিশ্চিত এটি নির্বাণও (পুত্র) দেখেছে।’ উত্তরে সীমা বলেন, ‘ভিডিও দেখে নির্বাণ আমাকে ফোন করেছিল। তবে ভিডিও নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কিন্তু ওর প্রশ্ন ছিল— ‘এটা কোন পোশাক?’ আর আমার উত্তর ছিল, ‘ভিডিও দেখে তুমি এটাই বলতে চাও?’ সত্যি বলতে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরের দু’ দিন আমি নরকে ছিলাম।’
নেটিজেনদের বাড়াবাড়ি নিয়ে সীমা বলেন, ‘এমন না যে, আমি কিছু অস্বীকার করেছি। সবাই তো এমনটা করে। ওই অবস্থায় আমি শুধু সবার সামনে চলে এসেছি।’ সীমার কথায় সহমত পোষণ করে মালাইকা আরোরা বলেন, ‘তুমি একটা ভালো সময় কাটাচ্ছিলে। কিন্তু কেউ সেটা ওভাবে দেখবে না কেন? মেয়েরা কি পারে না বাইরে বেরিয়ে দুটো পেগ খেতে। সবাই বলবে ‘কী খারাপ’, ‘কী বাজে চরিত্র’। মেয়েদের সব কিছু নিয়ে কেন এত বিচার করা হয়?’
এসব প্রশ্নের জবাবে সীমা বলেন, ‘‘আমি বরং এসবের জন্য নিজেকে ধন্য মনে করি। কারণ এসব ঘটনা আমাকে মোটা চামড়ার মানুষ হতে সাহায্য করেছে। একটা সময় উপলদ্ধি করা যায়— ‘এসব নামহীন, চেহারাহীন মানুষেরা কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।’ আসলে এখন সবাই বিচারকের আসনে বসতে চায়।’’
১৯৯৮ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোহেল খান ও সীমা খান। ২০০০ সালে তার ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র নির্বাণ খান। ২০১১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেয় তাদের দ্বিতীয় পুত্র ইয়োহান। গত বছর ইয়োহানের দশম জন্মদিন উদযাপন করেন এই দম্পতি। চলতি বছরের শুরুতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তারা।