নাসিম রুমি: দেশীয় সিনেমার আধুনিকতা এবং হাল ফ্যাশনের রূপকার ছিলেন সালমান শাহ। সাবলীল অভিনয় গুণে অতি অল্প সময়ে দর্শকদের হৃদয়ে পাকাপোক্ত অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হন তিনি।
আজও তার অভিনীত কোনো সিনেমা বা গানের দৃশ্য দেখলে নিজের অজান্তে দুই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়। অকালপ্রয়াত এই অভিনেতার কথা মনে পড়লে আজও ভক্তদের বুকের ভেতরটা যেন হাহাকার করে ওঠে!
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অকালে চলে যেতে হয়েছে এই বিস্ময় বালককে।
তার রহস্যজনক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের শুরু হয়।
সাবেক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছিলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
তাকে খুন করা হয়নি। চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্কের কারণে স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ নায়ক।
এদিকে, টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতার মা নীলা চৌধুরী মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি, ভারত থেকে এজেন্ট এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরীর ভাষ্য, তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে। সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা। সুকুমার রঞ্জন সে সময় সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় এজেন্ট, ‘র’। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন।
নীলা চৌধুরী বলেন, আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত, এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
সালমান শাহর স্ত্রী সামিরার বিষয়ে তিনি বলেন, সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানীং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি।