শুরু হলো বৈশাখী টিভির মাইজ ভাণ্ডারী গানের অনুষ্ঠান ‘রূপের ভাণ্ডারী’। আলমগীর রাসেলের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০.০০টায়। এ পর্বে ভাণ্ডারী গান নিয়ে হাজির হবেন সাগর দেওয়ান ও তার দল। ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ৮টি গান গাইবেন তিনি।
তার সাথে গানে সঙ্গত করেছেন কিবোর্ডে নাদিম, অক্টোপ্যাডে রিয়াদ, ঢোলে সুশান্ত এবং বাঁশিতে সোহাগ। সাগর দেওয়ানের কণ্ঠে গানগুলো অন্যরকম দ্যোতনায় মানুষের মনকে কিছুক্ষণের জন্য উন্মাতাল করে তুলবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
সাগর দেওয়ানের জন্ম ঢাকার কেরানীগঞ্জে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিবার দেওয়ান বংশের চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পী। গানের প্রথম সুর মায়ের কাছে। এরপর বড় ভাই আরিফ দেওয়ানের সান্নিধ্য। মূলত বিখ্যাত বাউল সাধক আরিফ দেওয়ানের মাধ্যমেই সংগীত ভুবনে তার পথচলা। সুর আর গায়কি ঢংয়ে আরিফ দেওয়ানের প্রভাব শৈশব থেকেই। শৈশবে পালাগানে দোহারি হয়েই এই অর্জন তার।
বাউল ভুবনের প্রায় পরিপূর্ণ শিল্পী এখন সাগর দেওয়ান। গান করছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত পালা শিল্পীদের সঙ্গে। বাউলে যারা কান পাতেন, তারা সাগরকে শুনতে পারছেন। শুনছেন বৈঠকি গান, পালাগান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে।
বয়সের যে ফ্রেম, তা ছাপিয়ে গেছেন সুরের ফ্রেমে। বিশেষত, সুফি গানে যে আলো ছড়াচ্ছেন, তা অতুলনীয়। ঊর্দু, হিন্দি গজল, কাওয়ালি গাইছেন সমানতালে।
সাগর দেওয়ান বলেন, ‘দেওয়ান পরিবারের সন্তান আমি। আমাদের পরিবারে সুফিবাদের চর্চা হয়ে আসছে প্রায় ২শ’ বছর ধরে। সুফিবাদ আর বাউলের যে মেলবন্ধ, তা খুব কাছে থেকে দেখেছি। চেষ্টা করছি এই ধারাতেই নিজেকে রাঙাতে।’
সাগর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মিউজিক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে বেসরকারি শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে সংগীতের (নজরুল বিভাগ) ওপর অনার্স করছেন।
তিনি বলেন, ‘সংগীত পরিবারেই বেড়ে ওঠা আমার। দাদা গুরু মালেক দেওয়ান-খালেক দেওয়ান ছিলেন বাউলের মানিকজোড়। অসংখ্য ভক্ত-আশেকান আর শিষ্য রেখে গেছেন। তাদের নামেই বহু সাধক আজ সুফী গানের আলো ছড়াচ্ছেন। বাবাও বিখ্যাত পালাশিল্পী ছিলেন। আমারও ধ্যান-জ্ঞান তো এটিই। লক্ষ্য ঠিক রেখেই মিউজিকের ওপর পড়ছি। একাডেমিক শিক্ষা আমার সুর-সাধনাকে সমৃদ্ধ করছে নিঃসন্দেহে।
বৈশাখীর টিভির রূপের ভাণ্ডারী অনুষ্ঠানে আমার গাওয়া গানগুলো দর্শক হৃদয়কে আলোড়িত করবে বলে আমার বিশ্বাস।