আজাদ আবুল কাশেম: বিশিষ্ট অভিনেতা এম এ সামাদ-এর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯২ সালের ২৪ এপ্রিল, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। প্রয়াত এই অভিনয়শিল্পীর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
অভিনেতা এম এ সামাদ ১৯২৭ সালের ১৬ জুলাই, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিহারের দানাপুরে এক অভিজাত মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি কলকাতায় লেখাপড়া করেছেন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। চল্লিশের দশকে কলকাতায় নাটক জড়িত হন, তখন দুয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।
দেশ বিভাগের পর এম এ সামাদ ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে বেতারে নাট্যশিল্পী হিসেবে যোগ দেন। ঢাকার বিভিন্ন মঞ্চেও অভিনয় করেন তিনি। ঢাকায় তাঁর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ‘বিষকন্যা’ (মুক্তি পায়নি), এই ছবির পরিচালক ছিলেন উদয়ন চৌধুরী। এরপর তিনি আরো যেসব ছবিতে অভিনয় করেন সেগুলো হলো- নতুন সুর, একালের রূপকথা, পুনম কি রাত, নয়নতারা, ভাগ্যচক্র, আলীবাবা, সুয়োরানী দুয়োরানী, কুঁচবরন কন্যা, নবাব সিরাজউদ্দৌলা, রামের সুমতি, মায়ামৃগ, ঈসা খাঁ, আমীর সওদাগর ও ভেলুয়া সুন্দরী, পরশমনি, তানসেন, কাঞ্চনমালা, সংসার, মনের মত বউ, সাইফুল মুলক বদিউজ্জামাল, অবাঞ্ছিত, বাঘা বাঙ্গালী, দূস্যরানী, জেহাদ, শহর থেকে দুরে, ইয়ে করে বিয়ে, রংবাজ, আলো তুমি আলেয়া, নিশান, ফকির মজনু শাহ, সোনালী আকাশ, ইত্যাদি ।
এম এ সামাদ মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের একজন গুনী অভিনেতা ছিলেন। তিনি ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ চলচ্চিত্রে ‘জগতশেঠ’ চরিত্রে বাস্তবানুগ অভিনয় করে, একজন শক্তিমান অভিনেতা হিসেবে আজও স্মরণীয় হয়ে আছেন, সিনেমাদর্শকদের কাছে।
নানা