বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর এসব উঠে আসে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ আয়োজিত চলচ্চিত্র বিষয়ক গবেষণা কর্মের আলোচনায়। আজ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গবেষণা কর্মের সেমিনার শুরু হয়।
চলতি অর্থ বছরে ১০ টি গবেষণা কর্মের প্রথম সেমিনারের বিষয় ছিলো বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে ফলি আর্ট, কারিগরি ও নন্দনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৫ জানুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ পর্যন্ত দশটি সেমিনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ ৩০ শে ডিসেম্বর সকাল দশটায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনাল হলে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে ফলি আর্ট, কারিগরি ও নন্দনতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ শীর্ষক প্রথম সেমিনার।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীরের সভাপতিত্বে আজকের সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক মো. হাসান ইকবাল, ডেপুটি ম্যানেজার, সেভ দ্য চিলড্রেন। প্রধান আলোচক ছিলেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন, চলচ্চিত্র পরিচালক ও শিক্ষক। আলোচক ছিলেন রতন কুমার পাল, শব্দ প্রকৌশলী ও শিক্ষক। গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবালসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ। গবেষণা কর্মের উপর আগামী ৩, ১০, ১১, ১৬, ১৭, ১৯, ২৩ ও ২৫ শে জানুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত বিষয় ভিত্তিক গবেষকদের সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
এই অর্থ বছরের অন্যান্য গবেষণা গুলো হলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে মধ্যবিত্তের রূপায়ন ও নারায়ণ ঘোষ মিতা, বাংলা চলচ্চিত্রে পাঁচ দশকে কবরী, বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্রে গণহত্যার ডকুমেন্টেশন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নৃগোষ্ঠী: বহুমাত্রিক সংস্কৃতির উপস্থাপন কৌশল বিশ্লেষণ, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহার সঙ্গীত দর্শন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনে ওটিটি প্লাটফর্ম: সংকট ও সম্ভাবনার স্বরূপ অনুসন্ধান, বাংলাদেশের মূলধারা চলচ্চিত্র পোস্টারের রূপ ও রূপান্তর: একটি সামাজিক অনুসন্ধান, তিতাস একটি নদীর নাম ও সূর্য দীঘল বাড়ি চলচ্চিত্রে বাসন্তী ও জয়গুনের নারীবাদী অস্তিত্বের পুনর্পাঠ, চলচ্চিত্র সংরক্ষণের সনাতন ও আধুনিক পদ্ধতি: একটি তুলনামূলক পর্যালোচনা/বিশ্লেষণ (Contemporary Analysis)।