English

26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫
- Advertisement -

ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়লেন অপি করিম

- Advertisements -

শোবিজের গুণী অভিনেত্রী অপি করিম। যার হাসিতে মুক্তো ঝরে। ব্যক্তিগত জীবন থেকে অভিনয়, ক্যারিয়ার সবই বেশ পরিপাটি তার। এ কারণেই তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। দর্শকপ্রিয় এই অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আছেন বেশ বিপাকেই। এর আগেও বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে সচেতন হয়েছিলেন তিনি। কারণ, তার নাম ব্যবহার করে দিনের পর দিন কে বা কারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিলেন। এই নিয়ে প্রায়ই বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

এদিকে, ভক্তদের সচেতন করে অপি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, অন্যকে দিয়ে কেন আপনার মনের কথা বলাচ্ছেন, নিজের নাম দিয়ে লেখার সাহস দেখান। বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু মানুষ আমার নামে নানা অ্যাকাউন্ট বা পেজ খুলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। আপনারা যা লিখেন আমার হয়ে, আমি ওইভাবে কথা বলি না, লিখিও না। আমার লেখার সঙ্গে আমার কাছের মানুষ আর অনেক ভক্ত পরিচিত। তাদেরকে আপনারা ওইগুলো “আমার কথা” বলে বিশ্বাস করাতে পারবেন না।

তার নামে যারা লিখেছেন, তাদের উদ্দেশে অপি লিখেন, আপনার যদি এত ইচ্ছা থাকে লিখতে তাহলে নিজের নামে লিখতে বসুন। অন্যকে দিয়ে কেন আপনার মনের কথা বলাচ্ছেন। এত কষ্ট করে লিখছেন, কৃতিত্ব আপনারই প্রাপ্য। মিথ্যার ওপর ভর করে অন্যের নাম দিয়ে লেখার যদি সাহস থাকে, তাহলে নিজের নাম দিয়ে লেখার সাহস দেখান।

বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে এই অভিনেত্রী বলেন, আপনারা এত কষ্ট করে আমার নাম ভাঙিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে অনুগ্রহপূর্বক নিজেদের বিরত রাখুন! সময় নষ্ট করছেন! তার চেয়ে চোখ বন্ধ করে গল্প শুনুন বা চোখ খুলে বই পড়ুন। প্রযুক্তির অনেক গুণ, ওটা ব‍্যবহার করি যথাযথভাবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে অপি করিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আছে কিন্তু তাতে বিচরণ নেই বললেই চলে। এমনকি আমি পারতপক্ষে মোবাইল ফোনে কোনো কনটেন্ট দেখি না! আয়েশ করে টিভিতেই দেখি। আর হ্যাঁ, ট্রাফিক জ্যামে বসে শুনি ইউটিউব থেকে গল্প, চোখ বন্ধ করে! চোখের আরাম, মনেরও। তাই মনে হয় সময় অনেকটাই বেঁচে যায় আমার।

সব শেষ এই অভিনেত্রী লিখেন, আমার জীবনযাপন নিয়ে আমার অনেক আরাম। আমার অনেক বন্ধু নেই, আমি অনেক হট্টগোল পছন্দ করি না। পরিবার, কাজ, বই পড়া, ছবি আঁকা, গাছের যত্ন-আমার সারা দিন কেটে যায়। বোন ভাই আত্মীয়স্বজনের বাইরে থাকার কারণে ফোন বিশেষ প্রয়োজনীয় জিনিস। গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও অনেক সময় ব্যবহার করতেই হয়। এর বাইরে আমার সঙ্গে ফোন থাকে খুবই কম। হয় ব‍্যাগেই পড়ে থাকে, নয়তো বাসায় ফোন রেখেই বাইরে বের হয়ে যাই। ফোনে তেমন ছবিও তোলা হয় না, সেলফির অভ্যাস নেই এবং আমার তাতেই শান্তি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন