নাসিম রুমি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যান দেশ ছেড়ে। তার পদত্যাগের পরই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। হাসিনার পলায়নের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি, নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ দেশের ভেতরেই আত্মগোপনে চলে যান। তাদেরই একজন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক এমপি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
শেখ হাসিনা ভারতে যাওয়ার পর থেকেই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তার। ঢাকাই সিনেমার এ নায়কের বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখলেই ফেরদৌসের বাড়িতে ঘুরতে যান ঋতুপর্ণা। তবে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিগত এক মাসে ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি এ অভিনেত্রী।
প্রিয় বন্ধুকে নিয়ে বেশ চিন্তিতও তিনি। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘গত এক মাস ধরে ফেরদৌসের খোঁজ পাইনি। তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও বন্ধ পাচ্ছি। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার অধিকার আছে। ফেরদৌসও সেভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে, সংসদ সদস্য হয়েছে। আমি জানার বহু চেষ্টা করেছি সে এখন কেমন আছে, কোথায় আছে। কেউ যদি আমাকে জানাতে পারেন চিন্তামুক্ত হতাম। ওর জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছি।’