গাইতে গাইতে চলে গেলেন বলিউডের তারকা গায়ক কৃষ্ণকুমার কুনাথ। বলিউডে তিনি কেকে নামেই পরিচিত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। মঙ্গলবার (৩১ মে) কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান ছিল তার। মঞ্চে গান গাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুততার সাথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের প্রথম সারির এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে।
ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই এ শিল্পী মারা গেছেন বলে ধারণা চিকিৎসকদের। আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কেকে’র এমন অকাল মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল ভারতের বিনোদন জগত। ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তার অনুরাগীরা। এভাবে গানের অনুষ্ঠানে অসংখ্য শ্রোতাদের আনন্দ দিয়ে তিনি নিজেই যে না ফেরার দেশে চলে যাবেন, তা ভাবতে পারছেন না কেউ।
দিল্লিতে জন্ম সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকের। নয়াদিল্লিতে তার বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা। ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ‘জোশ অফ ইন্ডিয়া’ গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে ছোটবেলার ভালোবাসা জ্যোতিকে বিবাহ করেন কেকে। কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার ছিলেন তার প্রেরণা। তাকে দেখেই মূলত সঙ্গীত জীবনে আসেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কেকে জানান, তিনি আর.ডি বর্মন, মাইকেল জ্যাকসন এবং আরও বেশ কয়েকজন হলিউড গায়কের অনুরাগী ছিলেন। দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর কয়েক মাসের জন্য মার্কেটিং এক্সিকিউটিভের কাজ করেন কেকে। এর কয়েক বছর পর ১৯৯৪ সালে তিনি মুম্বাই পাড়ি দেন বলিউডে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে।
বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালামসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় গান গেয়েছেন কেকে। কেকের কথা উঠলেই অনুরাগীদের মনে ভেসে ওঠে ‘দিল ইবাদত’, ‘তারাপ তারাপ’, ‘আঁখো মে তেরি’, ‘জারা সা’, ‘খুদা জানে’, ‘তু যো মিলা’, ‘কেয়া মুঝে পেয়ার হে’, ‘তুহি মেরি সাব হে’, ‘বিতে লামহে’ সহ আরও অনেক অনেক গান। তাকে ভারতের অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ সংগীতশিল্পী হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়নসহ একাধিক পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন এবং দু’টি স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেছেন।