নাসিম রুমি: প্রায় একই সময়ে ঢাকাই সিনেমায় আগমন ঘটেছিল তিন নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস ও শাকিল খানের। মাঝখানে ব্যবধান ছিল এক-দুই বছরের। তিনজনের মধ্যেই রয়েছেন দারুণ মিল, সেই সঙ্গে ব্যক্তিজীবনেও তাদের রয়েছে দারুণ বন্ধুত্ব। রোমান্টিক হিরো হিসেবে তিনজনের জনপ্রিয়তাই ছিল আকাশছোঁয়া।
রিয়াজ-ফেরদৌস ও শাকিল খান, এই তিন নায়ককে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল ‘দুই নয়নের আলো’ ছবিতে। সেখানেও তিনজনের নায়িকা ছিলেন তাদের বান্ধবী ও সহকর্মী শাবনূর। এই চার তারকাকে এক সিনেমায় নিয়ে আসার মতো সেই অসাধ্য সাধন করেছিলেন নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তিনজনই শাবনূরের নায়ক হয়ে সাফল্য পেয়েছেন। তবে একটা সময় শাবনূর-রিয়াজ জুটির আলাদা দর্শক তৈরি হয়ে যায়। শাকিল খান জুটি বাঁধেন পপির সঙ্গে। অন্যদিকে ফেরদৌস অভিনয় করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সব নায়িকাদের সঙ্গে। তবে তিনি মৌসুমী ও শাবনূরকে নিয়েও বেশ কিছু সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন।
সম্প্রতি এদের তিনজনের একটি ছবি সোশ্যালে ছড়িয়ে পড়ে। পুরনো স্মৃতিতে তাদেরকে দেখে নস্টালজিয়ায় ভুগছেন নায়কদের ভক্ত দর্শকরা।
তারও অনেক বছর আগে এই তিন নায়কের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস। সেসময় তিনি লিখেছিলেন, ‘এক সময় খুব ইচ্ছে ছিলো এই তিনজনকে নিয়ে আমার বাবা দিলীপ বিশ্বাস পরিচালিত সুপারহিট চলচ্চিত্র ‘জিঞ্জির’র রিমেক করবার। সুমন-রাজন-মোহন, বন্ধু আমরা তিনজন।’
১৯৯৫ সালে ‘বাংলার নায়ক’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢাকাই ছবিতে আগমন ঘটে রিয়াজের। তবে ১৯৯৭ সালে মহাম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ চলচ্চিত্রে অভিনয় বাজিমাত করে দেন তিনি। এই নায়কের আগমনের এক বছর পরেই সিনেমায় নাম লেখান ফেরদৌস। ছটকু আহমেদের ছবি ‘বুকের ভেতর আগুন’ ছবিতে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এই ছবির নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। জনপ্রিয় এই চিত্রনায়কের হঠাৎ মৃত্যু হলে ছবির অর্ধেক অংশ থেকে প্রবেশ করেন ফেরদৌস। আর শাকিল খানের আগমন ঘটে ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছবির মাধ্যমে। তবে তিনি এই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন ’৯৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। প্রথম ছবিতেই তিনি কাজ করেছিলেন পপির বিপরীতে। পরবর্তীতে এই জুটি ঢাকাই চলচ্চিত্রে বেশ জনপ্রিয়তা পায়।