চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুন। নির্বাচন নিয়ে তুমুল হই হট্টোগোল হয়ে গেছে। ওই নির্বাচনের দিন নিপুণকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন পীরজাদা- এমন অভিযোগ তুলেছিলেন নিপুণ। এই নিয়ে গোটা চলচ্চিত্রপাড়ায় হইচই পড়ে যায়।
পীরজাদা শহীদুল হারুন লিখেছেন, নিপুন একটি বাজে মেয়ে, তার স্বভাব চরিত্রেও প্রবলেম আছে বহুবিধ। তাই সে নিজেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়োজিত রাখতে না পেরে অস্বাভাবিক পথ বেছে নেয় আর একারণেই কিন্তু তাকে বিতর্কিত হতে হয় প্রায়শঃ।
তিনি বলেন, একমাত্র আমিই তার ভবিষ্যতের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম-কারণ আমি তো বিচারক ছিলাম,আর এই বিচারকগণ বাস্তবতার প্রমাণ, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেই কিন্তু আদেশ দিয়ে থাকেন আর আমিও নিপুণের বিষয়ে সকলকিছু সঠিকভাবে,ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করেই আমার আদেশ দিয়েছিলাম, এতে কিন্তু বিন্দুমাত্র আমার কোনও স্বার্থ ছিলো না আর তাতে কে কি বললো,সেটা আমি পরোয়া করি না।
এই অভিনেতা বলেন, আমিই সঠিক ছিলাম আর আমি জানি সঠিক সকল সময়ই সত্য এবং সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই,সন্দেহের কোনও কোনও বেড়াজাল যদিও সত্য প্রকাশকে মাঝে মাঝে বিলম্বিত করে ঠিকই কিন্তু তা সাময়িক, পরে কিন্তু আসল সত্যি ঠিকই বের হয়ে আসে। তাই আমিও তার মেয়ের বিষয়ে সঠিক আদেশটিই উন্মুক্ত আদালতে দিয়েছিলাম।
অভিনেতা তার বক্তব্যে শেষটুকু জানার জন্য আজ মুক্তি পাওয়া বীরত্ব চলচ্চিত্র দেখার আহবান জানান। কেননা নিপুণ ও তাঁর এই সমস্ত গল্প নাকি ওই বীরত্ব সিনেমার। সিনেমায় নিপুণ একজন যৌনকর্মী ও পীরজাদা শহীদুল হারুন একজন বিচারক।