জন্ম ও বেড়ে ওঠা নেপালে। সেখানকার সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি, জনপ্রিয়তা এসেছে বলিউড থেকে। বেশ কয়েকটি নন্দিত হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। নব্বই দশকে সিনে পর্দায় তার গভীর চাহনি আর মিষ্টি হাসি যে মুগ্ধতা ছড়িয়েছিলো, তার রেশ রয়ে গেছে এখনও।
হ্যাঁ, বলা হচ্ছে একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার কথা। রূপালি দুনিয়ায় তিনি সাফল্য পেয়েছেন বটে। কিন্তু এর পেছনে দিতে হয়েছে কঠোর শ্রম, পেরোতে হয়েছে বহু প্রতিবন্ধকতা। বুধবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সেসব নিয়েই কথা বলেছেন তিনি।
মনীষা জানান, নারী হওয়ার কারণে ক্যারিয়ারে অনেক বেশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, বিভিন্ন বৈষ্যম্যের শিকার হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘কিছু প্রতিবন্ধকতা এখনও রয়ে গেছে এবং আমি আশা করি কোনও একদিন থাকবে না। কারও লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং কাজ অনুযায়ী প্রত্যেকে পারিশ্রমিক পাবে, আমার প্রত্যাশা এই বিষয়টি একদিন সবার কাছেই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।’
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে পুরুষের তুলনায় নারীরা অনেক বেশি নিন্দার শিকার হন বলেও মনে করেন মনীষা কৈরালা। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নারীরা অবশ্যই অনেক দুর্বল, এ কারণে তারা শুধু সামাজিক মাধ্যমে নয়, বরং সবখানেই নিন্দার শিকার হয়। একজন পুরুষের তুলনায় নারীকে দ্রুত বিচার করে সমাজ। আসলে যিনিই দুর্বল হন, তাকেই আক্রমণের শিকার হতে হয়। কিন্তু আমি আশা করি সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে এবং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নারীরা একে-অন্যকে আরও বেশি সমর্থন করবেন।’
যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে নারীর জন্য পৃথিবীর কোন জিনিসটা পরিবর্তন করতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে মনীষা কৈরালা বলেন, ‘নারীর সমর্থনে কাজ করা নারীদের ওপর জোর দেবো আমি। এটা আমার পর্যবেক্ষণ যে, নারীবাদ ছেড়ে নারীরা পুরুষের সমর্থনে থাকে! তাদের বোঝা উচিত যে, তারা হলো দুর্গা, কালী ও ভগবতী। যখন একজন নারী তার যোগ্যতা ও ক্ষমতা বুঝবে, সে তখন অদম্য শক্তিতে রূপ নিতে পারবে। নারীরা হলো পরিচর্যাকারী, তারাই এই পৃথিবীর স্রষ্টা। শুধু তারাই নিজেদের মূল্য ও শক্তি উপলব্ধি করে না। আমি চাই, প্রত্যেক নারী এটা উপলব্ধি করুক এবং নিজের আলোয় আলোকিত হোক।’
প্রসঙ্গত, মনীষা কৈরালাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘শেহজাদা’ সিনেমায়। যেটি মুক্তি পেয়েছে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। এতে তিনি কার্তিক আরিয়ানের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।