থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করলেন চিত্রনায়িকা সুচিস্মিতা মৃদুলা। গত ১১ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানায় তিনি এই জিডি (নং ৪৩৬, তাং ১১-০৮-২০২১) নথিভুক্ত করেন।
কেন জিডি করলেন সুচিস্মিতা মৃদুলা
সম্প্রতি মাদককাণ্ডে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম গ্রেফতারের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও কয়েকজন মডেল এবং অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
সেসব সংবাদে বলা হয়েছে- তারাও বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে আছেন। তাদের মধ্যে মৃদুলা নামের এক কথিত মডেলের নামও আছে।
কিন্তু নামের শুধু একটি অংশের মধ্যে মিল থাকায় কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এবং ইউটিউব চ্যানেলে শাকিব খানের একটি চলচ্চিত্রের নায়িকা সুচিস্মিতা মৃদুলার ছবি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করে।
এ নিয়ে বিব্রত সুচিস্মিতা মৃদুলা। এ কারণে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি আইনের দ্বারস্থ হন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সুচিস্মিতা মৃদুলা গণমাধ্যমকে বলেন, আমার পরিবারের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে আমি অভিনয় জগৎ থেকে বিদায় নিয়েছি প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। এখন আমি পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত। এমনকি আমার বাগদানও হয়ে গেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সংসার কীভাবে গোছাব সেই পরিকল্পনাতেই ব্যস্ত আমি। এর মধ্যে হঠাৎ করে ৫ আগস্ট থেকে কিছু কিছু অনলাইন পত্রিকা ও ইউটিউব চ্যানেল আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রথম কথা হলো, পরীমনির সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই। মুখোমুখি কোনওদিন দেখাও হয়নি। তিনি চলচ্চিত্রে কাজ করেন এটাই জানি। আর নজরুল রাজ নামে কাউকে আমি চিনিও না। তবুও পত্রিকায় প্রকাশিত মৃদুলা নামের সূত্র ধরে আমার নাম জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে কেউ কেউ।
বিষয়টি নিয়ে আমি এবং আমার পরিবার খুব বাজে পরিস্থিতিতে পড়েছি। আত্মীয়স্বজনরা আমাকে ও আমার পরিবারকে ভুল বুঝছেন। সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগছি। শুধু নামের একটি অংশে মিল থাকার কারণে যারা আমার নামে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন সেটি অন্যায় এবং আইনবিরোধী। এজন্য থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি।
উল্লেখ্য, সুচিস্মিতা মৃদুলা শাকিব খানের সঙ্গে ‘একটা প্রেম দরকার’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। পরবর্তীতে ছবিটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বিদ্রোহী’। এটি এখনও মুক্তি পায়নি। এছাড়াও তিনি কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন।