এ কে আজাদ: তারুণ্যদীপ্ত কণ্ঠশিল্পী জুয়েল-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৮৬ সালের ১৪ জানুয়ারী, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২২ বছর। অকাল প্রয়াত জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুয়েলর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
জুয়েল (জাহিদুল ইসলাম জুয়েল)১৯৬৪ সালের ২৩ জানুয়ারি, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম গাফফার চৌধুরী। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। বড় বোন ডাক্তার স্বপ্না রকিব, ছোট ভাই চিত্রশিল্পী সোহেল ও ছোট বোন চিত্রনায়িকা রঞ্জিতা।
বাংলাদেশে ৮০ দশকের শুরুতে কয়েকজন তারুণ্যদীপ্ত কণ্ঠশিল্পীর আবির্ভাব ঘটে, যাদের গানে সে সময়ের তুরুণ-তরুণিরা উদ্বেলিত হয়-বিমোহিত হয়। যাদের গানে ৮০ দশকে অডিও ক্যাসেটের বাজার রমরমা ব্যবসায় পরিপূর্ণ হয়, তাদের মধ্যে অন্যতম কণ্ঠশিল্পী ছিলেন জুয়েল।
ক্ষণজন্মা জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জুয়েল-এর জনপ্রিয় গানের মধ্যে কয়েকটি- চলে গেলে ভুলে যেওনা, আমার নাম…., এই মন তুমি নিও না, ব্যথা তুমি দিও না….,ভালোবাসা যদি তুমি নাইবা দিলে…,
দূরে সরে যেওনা, আরো কাছে এসোনা…, একদিন তুমি সারাটা দিন অন্য মানুষ হয়ে….,।
মিষ্টিমধুর-শ্রুতিময় কন্ঠের অধিকারী ছিলেন জুয়েল। তাঁর কন্ঠযাদুতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ছুঁয়েছিলেন জনপ্রিয়তার উচ্চাসন। প্রতিভাবান মেধাবী, ক্ষণজন্মা এই কণ্ঠশিল্পী বেশী সময় পাননি, তাঁর প্রতিভা স্ফুরণের।
বিধির অমোঘ নিয়মে খুবই অল্প বয়সে, আকস্মিক তাঁকে চলে যেতে হয়েছে অনন্তলোকে। আমাদের সঙ্গীতের উর্বর ভূমিতে ও সঙ্গীত পিপাসুদের মনে আজও দেদীপ্যমান হয়ে আছেন কণ্ঠশিল্পী জুয়েল।