English

19 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

ট্রাব আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হচ্ছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন

- Advertisements -

সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য ট্রাব আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হচ্ছেন নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচা আন্দোলনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) আগামী ১৯ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার বিকেল ৫টায় ঢাকা ক্লাব স্যামসং এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে ট্রাব আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করবে।
অনুষ্ঠানে জুরীমন্ডলীর মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সংগীত, মঞ্চনাটক, যাত্রা, নৃত্য ও সাংবাদিকতা বিভাগে ট্রাব অ্যাওয়ার্ড-২০২১ প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
আলোকিত সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের সঠিক কর্ম পরিকল্পনাই দিগন্ত রেখা বিস্তৃত করে। তখন জীবনের সকল গতির মাঝে অন্তর্নিহিত থাকে মানবিকতা। কাজের ধর্ম এবং সফলতায় একাগ্রতা ও নিষ্ঠায় গতি প্রকৃতি নির্ধারিত হয়। সামাজিক আন্দোলন নিরাপদ সড়ক চাই- এর জন্ম হয়েছে একটি বিয়োগান্তক পরিণতির মধ্য দিয়ে। যার জীবনে এই ঝড় মহাপ্রলয় হয়ে এলো তিনি রূপালী পর্দার একজন জনপ্রিয় চিত্রতারকা। সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত হলো তাঁর পুরো পরিবার। হারালেন প্রিয়তমা স্ত্রীকে। বলছি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের কথা। এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জাহানারা কাঞ্চন। ইলিয়াস কাঞ্চন হারালেন জীবনের স্পন্দনকে। গতি থেমে যাবার কথা। না, সেই পথে হাঁটলেন না তিনি। নিজেকে রূপালী পর্দা থেকে নামিয়ে আনলেন রাস্তায়। সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামে একটি সামাজিক আন্দোলনের ডাক দিলেন। সে যে পথে নামলেন আজও হেঁটে চলেছেন। বাংলার সকল প্রান্তে আজ দীপ্তকণ্ঠে উচ্চারিত হয় ইলিয়াস কাঞ্চনের নাম। আর মানবিক এক সত্ত্বার অনন্য প্রতীক হয়ে উঠলেন তিনি।
সময়ের পথ বেয়ে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’র কর্মের ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’। সরকারের এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের আন্দোলনের যৌক্তিক ভিত্তি আরো সুদৃঢ় হলো।
আমরা বলতে চাই ইলিয়াস কাঞ্চনের মানবিক চরিত্রের কথা। যিনি রূপালী পর্দায় ঝলমলে আলো উপেক্ষা করে ধুলোমাটির রাজপথে নেমে আসতে পারেন, প্রতিষ্ঠিত হতে পারে জনকল্যাণমূলক একটি দৃষ্টান্ত। তাঁর নীতি ও নৈতিকতা একটি আদর্শও বটে। যা ধারণ করেছে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলনের যোদ্ধারা। যে কারণে দেশের সকল দুর্যোগ ও মহাসংকটে নিসচা যোদ্ধারা মানবিক কাজে সক্রিয় থাকে পথে-প্রান্তরে। সকল দুর্যোগের মতই বিশ্বআগ্রাসী করোনার সংকটে যখন বিপর্যস্ত জনজীবন তখন নিসচা যোদ্ধারা জীবনের শঙ্কা উপেক্ষা করে সহায়তা নিয়ে কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে অতন্দ্র প্রহরীর মত।
বিশেষ করে লকডাউন-এর পুরোটা সময় পরিবহন চালক শ্রমিক ও শ্রমিক ভাইদের পাশে কোথাও না কোথাও নিসচা কর্মীরা তাঁদের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে গেছেন। এমনকি প্রতিটি ঈদের সময়ও পরিবহন শ্রমিক ভাইয়েরা যেন ঈদ করতে পারে নিসচা কর্মীরা সে বিষয়টির প্রতিও যথাসম্ভব সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলো। নিরাপদ সড়ক চাই জনকল্যাণে, দুর্যোগে, সংকটে তৈরি করেছে নিবেদিতপ্রাণ মানবিক সড়কযোদ্ধা।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন