নাসিম রুমি: অভিনেতার বাইরেও রাজনীতিবিদ মিঠুন চক্রর্বর্তী। আজ তার জন্মদিন। বরাবরই নিরিবিলিতে নিজের জন্মদিন পালন করতে ভালোবাসেন তিনি। তিনি-ই সেই মিঠুন যার কাছে জাতীয় পুরস্কার নিতে যাওয়ার পর্যন্ত টাকা ছিল না এক সময়।
মিঠুনের জীবন সংগ্রাম নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তার মধ্যে এটিও একটি। এই গল্প ‘মৃগয়া’ পর্বের। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় থাকাকালীনই পরিচালক মৃণাল সেনের নজরে পড়েন মিঠুন। কলেজে দাঁড়িয়ে নাকি কয়েকজন সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে ফ্লার্ট করছিলেন তিনি। তখনই মৃণাল সেনের নজর কাড়েন। তার বছর দুয়েক পর ‘মৃগয়া’য় অভিনয়ের সুযোগ পান। প্রথম ছবিতেই সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার।
জাতীয় পুরস্কার নিতে দিল্লি যেতে হতো। কিন্তু মিঠুনের কাছে সেই টাকা ছিল না। সেই সময় নাকি মিঠুনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা। শোনা যায়, রেখার এক সিনেমার শুটিং দিল্লিতে হচ্ছিল। নিজের স্পটবয় সাজিয়ে তিনি মিঠুনকে দিল্লি নিয়ে যান।
জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পরও খালি পেটে দিন কাটাতে হয়েছে মিঠুনকে। মুম্বাইয়ে বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাকে। এক সময় নাকি কোনও অভিনেত্রী নায়ক মিঠুনের বিপরীতে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। এই প্রথা ভাঙেন জিনাত আমান। তিনিই প্রথমবার মেইনস্ট্রিম ছবিতে মিঠুনের নায়িকা হতে একবাক্যে রাজি হয়ে যান।
সেই দিন আর এই দিন। মিঠুন এখন ‘মহাগুরু’। তবে জন্মদিনে কোনও আড়ম্বর পছন্দ করেন না ৭৪ বছরে পা দেওয়া সুপারস্টার। এদিন কোনও সেলিব্রেশনই নাকি পছন্দ নয় তার। কেকও কাটতে চান না। খুব ভালো রান্না করেন অভিনেতা। এদিনটা সাধারণত পরিবারের সদস্যদের রান্না করে খাওয়ান। তবে এ বছর তার ছেলে মিমো শুটিংয়ের জন্য রয়েছেন কলকাতায়। নমাশি ব্যস্ত শর্টফিল্মের শুটিংয়ে। বাকি দুই সন্তানও দেশের বাইরে। তবে অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন ‘মহাগুরু’।