English

25 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

চুরি করা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মাঝেও আনন্দ ছিল: জ্যোতি

- Advertisements -

‘আমার শৈশব কেটেছে গ্রামের বাড়িতে। আমি যে স্কুলে পড়াশোনা করতাম সেখানে কোনো শহিদ মিনার ছিল না। একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সকালে মাইকে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি বাজানো হতো। এটি ভীষণ আবেগ তাড়িত করে। ভেতর থেকে নাড়া দেয়। যাই হোক, আমরা তখন গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ফুল সংগ্রহ করতাম।

এরপর স্কুলে গিয়ে ইট দিয়ে শহিদ মিনারের মতো তৈরি করে শ্রদ্ধা জানাতাম।’ ছোটবেলায় একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেন দুই পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি।

চুরি হওয়ার ভয়ে গ্রামের বাড়িতে ফুল গাছের প্রতি আলাদা নজর রাখা হয়। তা জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘গ্রামে বাড়ির ফুলগুলোর প্রতি সবাই নজর রাখেন, যাতে কেউ ছিঁড়ে নিতে না পারেন। কারণ গ্রামে তো ফুল কিনতে পাওয়া যায় না। ফুলের প্রতি নজর রাখাটা এক প্রকার কপট রাগ বলা যেতে পারে। কারণ ফুল দিতেও চায়, আবার অনেকে ফুল চুরি করে নিয়ে যায়; এতেও আপত্তি। যার কারণে সবাই একটু সতর্ক থাকেন। কিন্তু চুরি করা ফুল দিয়ে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর মাঝেও দারুণ আনন্দ ছিল, এটা অন্যরকম আনন্দ!’

একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন জ্যোতি। তা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। কখনো রচনা প্রতিযোগিতা, কখনো আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতাম। তবে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় হতাম। মনে আছে, এজন্য পুরস্কার হিসেবে প্লেট পেতাম। এসময়গুলো খুব মনে পড়ে, স্মৃতিকাতর করে তোলে।’

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন