চিত্রনায়ক আনসার-এর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৯২ সালের ২ আগস্ট, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৩ বছর। প্রয়াত এই অভিনেতার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
আনসার ১৯৩৯ সালের ২৩ জানুয়ারী, রংপুর জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী ভাষা এবং সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন।
জামান আলী খানের প্রযোজনায়, আব্দুস সাত্তার রচিত ‘বিদ্যালংকার প্রেস’ নাটকে, সর্বপ্রথম অভিনয় করেন আনসার।
মুস্তাফা মেহমুদ পরিচালিত, ‘মোমের আলো’ (১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত) ছবিতে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্র অভিনয়ে আসেন, আনসার। কিন্তু তাঁর অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘আয়না ও অবশিষ্ট’, যা মুক্তিপায় ১৯৬৭ সালে। নায়ক আনসার যেসব ছবিতে অভিনয় করেছেন সেগুলো হলো- আয়না ও অবশিষ্ট, মোমের আলো, মায়ার সংসার, নতুন প্রভাত, অধিকার, অনির্বাণ, কে আসল কে নকল, অশান্ত ঢেউ, কলংকিনী, সোনার খেলনা, বানজারান, প্রভৃতি।
ঢাকার চলচ্চিত্রে অভিনয় করার আগে আনসার- বেতার, টেলিভিশন ও থিয়েটারে নিয়মিত অভিনয় করতেন।
তিনি টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৪ সালে, এদেশে প্রথম নাটকের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘রঙ্গরূপ নাট্য একাডেমী’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
তখনকার সময়ে ঢাকার চলচ্চিত্রে নায়ক আনসার দেখতে বেশ সুদর্শন ছিলেন। রোমান্টিক নায়কের ইমেজ তিনি খুব অনায়াসেই গড়তে পারতেন, যদি চিত্রপরিচালকদের সুনজরে থাকতেন। কি এক অজানা কারণে নির্মাতাদের কাছ থেকে তিনি যথাযথ সুযোগ-সুবিধা পান-নি। তাই হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি ছবিতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। নির্মাতারা তাকে মূল্যায়ন করলে বা সঠিকভাবে কাজে লাগালে, তিনিও হয়তো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয়/জননন্দিত নায়ক হয়ে উঠতেন। বাংলাদেশের সিনেমা দর্শকদের স্মৃতিতে আজও অম্লান চিত্রনায়ক আনসার।