এ কে আজাদ: চিত্রনায়িকা অন্তরা’র নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
অন্তরা (পারভীন আক্তার লাকী) শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন। শিশুশিল্পী হিসেবে তাঁর নাম ছিল ‘বেবী লাকী’।শৈশব থেকেই খুব ভালো অভিনয় করতেন। শিশুশিল্পী হিসেবে অন্তরা অভিনয় করেন, ‘রঙিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’, ‘অবুঝ হৃদয়’, ‘স্বামীর আদেশ’, ‘বোনের মতো বোন’, প্রভৃতি ছবিতে।
অন্তরা নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন, তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত, ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্রে। অন্তরা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি, ‘বালিকা হলো বধূ’, ‘দোলন চাঁপা’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘সুখের আশায়’, ‘লাঠি’, ‘প্রেমের কসম’, ‘পাগলা বাবুল’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘আলিফ লায়লা’, ‘ফজর আলি আসছে’, ‘আমার মা’, ‘কালনাগীর প্রেম’, ‘নিষ্পাপ বধূ’, ‘ভয়ংকর বদমাস’, ‘রাজু আমার ভাই’, ‘ফাইভ রাইফেলস’, ‘তেজী সন্তান’, ‘বাবা কেন আসামী’, ‘লেডি রাম্বো’, ‘গরীবের অহংকার’, ‘পাপী সন্তান’, ‘প্রেমের সমাধি’, ‘মনে রেখ পৃথিবী’, ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’, ‘বউয়ের সম্মান’, ‘দেশদ্রোহী’, ‘নাজায়েজ’, ‘বাঘা বাঘিনী’, ‘পরাণ কোকিলা’, ‘বেঈমানির শাস্তি’, ‘সুপারম্যান’, ‘ইবলিশ’, ‘পারলে ঠেকাও’ প্রভৃতি।
শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পাওয়া অন্তরা, নায়িকা হিসেবেও ছিলেন বেশ সম্ভাবনাময়। একজন স্টাইলিশ উঠতি নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ছবিতে তাঁর পোশাক-পরিচ্ছদ, বাহারি সাজের টুপি, ব্যান্ড পরে তাঁর ফ্যাশনেবল পর্দা উপস্থিতি, তরুণ সিনেমাদর্শকদের মধ্যে বেশ শিহরণ তুলেছিল। এছাড়া তিনি খুব ভালো নৃত্যশিল্পীও ছিলেন।
ব্যক্তিজীবনে অন্তরা ২০১০ সালে ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম খোকনকে ভালোবসে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আইয়ান ইসলাম অর্থ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
অন্তরার দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি স্বামীর সাথে ঝগড়া হওয়ার পর, অন্তরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর । মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মৃত্যু হয় বলে তখন জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে অন্তরার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ করা হয়, অন্তরার স্বামী শফিকুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে । অভিযোগ এখনো তদন্তাধীন রয়েছে।