নাসিম রুমি: ২০২১ সালের ঘটনা। গোপন সূত্রে মাদক পাচারের খবর পেয়ে মুম্বইয়ে কর্ডেলিয়া ক্রুজ়ে
অভিযান চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো তথা এনসিবি। ওই জাহাজেই ছিলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। এনসিবির অভিযানের পর প্রথমে আটক ও তার পরে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে।
সেই সময় ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিশ্ব বিজয় সিংহ। গত বছরই সাসপেন্ড করা হয়েছিল ওই আধিকারিককে। এ বার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর চাকরি থেকে সরানো হল তাঁকে।
২০২২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সঠিক ভাবে তদন্ত না করার অভিযোগ ওঠে অন্য একটি মামলায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই উক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। সম্প্রতি শেষ হয়েছে সেই তদন্ত। তার পরেই বিশ্ব বিজয় সিংহকে চাকরি থেকে তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় এনসিবি বলে খবর। এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এনসিবি প্রধান সত্য নারায়ণ প্রধান নিজে। যদিও এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সদ্য চাকরিহারা আধিকারিক বিশ্ব বিজয় সিংহ।
আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক সরবরাহ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে ২০২১ সালে। কর্ডেলিয়া ক্রুজ়ের অভিযানের পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাজতবাসও হয় শাহরুখ-পুত্রের। তবে পরবর্তী কালে আদালতে এই অভিযোগের পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি তৎকালীন জ়োনাল আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। আরিয়ানের কাছে কোনও মাদক পাওয়া না যাওয়ায় পরে বেকসুর খালাস দেওয়া হয় তাঁকে। তার পরেই অন্যত্র বদলি হয়ে যায় তদন্তকারী আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের।