শোবিজে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর প্রচলন পুরনো। বিভিন্ন সময় অনেক নামী তারকাও কাস্টিং কাউচের শিকার হয়েছেন। সেই মুহূর্তে সেসব খবর গোপন থাকলেও পরবর্তীতে প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় টেলিভিশনের পরিচিত মুখ প্রিয়াঙ্কা মিত্র।
‘ছদ্মবেশী’ সিরিয়ালের মাধ্যমে লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় পথচলা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু পরিচালক-প্রযোজকের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুটিং সেটে হেনস্তার শিকার হন তিনি। এমনকি সেই সিরিয়াল ছাড়তে বাধ্য হন অভিনেত্রী। অতঃপর দুই বছর বিরতি দিয়ে ‘খড়কুটো’ নাটকে পার্শ্বচরিত্রে পর্দায় ফেরেন প্রিয়াঙ্কা।
অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘জীবনের প্রথম ধারাবাহিকে কাজ করার সময়ই খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। পরিচালক-প্রযোজকরা আমাকে উত্ত্যক্ত করেছে। আমার ফোনে খারাপ খারাপ ম্যাসেজ পাঠাতো। তাদের সেসব প্রস্তাবে রাজি হইনি বলে শুটিং সেটে আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। শেষমেশ সেখান থেকে সরে যাই। পরবর্তী দুই বছর ইন্ড্রাস্ট্রিতে ফেরার সাহস হয়নি।’
প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘পরবর্তীতে সেই খারাপ মানুষগুলো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমাকে তারা ম্যাসেজে সে কথা জানিয়েছেন। সেই সিরিয়ালে আমার বদলে অন্য অভিনেত্রীকে দিয়ে চরিত্রটা করানো হয়েছিলো। কিন্তু ধারাবাহিক সফলতার মুখ দেখেনি।’
তবে এখন আর সেই খারাপ পরিস্থিতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন সব পাল্টে গেছে। মানসিকভাবে আমি অনেকটা শক্ত হয়েছি। এখন আর কাউকে ভয় পাই না। আগের মতো কাঁদিও না। যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারা সবাই একেবারে অন্য রকম। এখানে প্রত্যেককে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয়। বলা চলে, একটা সুস্থ পরিবেশে কাজ করছি।’