নাসিম রুমি: হিন্দি সিনেমার অন্যতম সুন্দরী একজন নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাই। ১৯৯৪ সালে বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জেতার পর তিনি যখন চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করলেন, তখন থেকেই তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। বলিউডের বহু ব্যবসাসফল সিনেমার নায়িকা তিনি।
আজ বুধবার সেই অনিন্দ সুন্দরী অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৭৩ সালের ১ নভেম্বর ঐশ্বরিয়ার জন্ম হয়েছিল ভারতের কর্ণাটকের মাঙ্গলুরে। বয়স ৫০ পূর্ণ করে আজ ৫১ বছরে পা দিলেন ঐশ্বরিয়া। এই নায়িকার বাবার নাম কৃষ্ণারাজ রাই এবং মায়ের নাম ভ্রিন্দা রাই।
ঐশ্বরিয়ার ফিল্মি ক্যারিয়ার এবং প্রেমজীবন সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। তাই আজকে নায়িকার জন্মদিনে আমরা জানব, বয়সের কোঠা ৫০ পেরিয়েও কীভাবে তিনি এত সুন্দর। ঐশ্বরিয়া এক কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন ১১ বছর। এরপর কীভাবে তিনি নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন?
জানলে অবাক হবে, ঐশ্বরিয়ার সৌন্দর্যের এই রহস্য কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যবহার করা কিছু জিনিসের মধ্যে! বলিউড অভিনেত্রী রূপচর্চায় বরাবরই ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রীতে বিশ্বাস করেন।
কীভাবে ত্বকের পরিচর্যা করেন ঐশ্বরিয়া? তার উজ্জ্বল ত্বকের রহস্যই বা কী? এসব নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলামেলা কথা বলেন অভিষেক-পত্নী।
ঐশ্বরিয়া জানান, প্রতিদিন তার রান্নাঘরে যেসব উপকরণ থাকে, তা দিয়েই তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন তিনি। কনফ্লাওয়ার, দই এবং মধু মিশিয়ে তৈরি করেন ফেস মাস্ক। মুখে লাগানোর পর ২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেললেই অনেক উপকার পাওয়া যায়।
অভিনেত্রীর মতে, ত্বককে আর্দ্র রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই দিনে অন্তত ১০ গ্লাস পানি পান করেন তিনি। একই সঙ্গে ত্বকে প্রতিদিন ময়শ্চারাইজার লাগানো জরুরি বলে মনে করেন এই বলিউড সুন্দরী।
ঐশ্বরিয়া জানান, ঘরে পাতা দই দিয়ে এক বিশেষ ফেসপ্যাক তিনি নিয়মিত মুখে লাগান। এর ফলে ত্বকের নমনীয়তা বজায় থাকে। একটি ঘরোয়া স্ক্র্যাব ব্যবহার করেন ঐশ্বরিয়া। বেসন, হলুদ আর দুধ দিয়ে এই স্ক্র্যাব বানানো হয়। স্ক্র্যাবটি নিয়মিত মুখে লাগান তিনি।
বেসনের এই স্ক্র্যাব ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ত্বককে তাজা রাখতে ঐশ্বরিয়া শসা ঘষে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। তবে ত্বকের ছোটখাটো যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী।
এছাড়া যেখানেই যান, সেখানে বাড়ির খাবার সঙ্গে নিয়ে যান ঐশ্বরিয়া। সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে কী করতে হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ঐশ্বরিয়া বলেন, মানসিক চাপমুক্ত থাকার অভ্যাস করতে হবে। যে যত বেশি মানসিক চাপে থাকেন, তার তত দ্রুত বলিরেখা পড়ে।